ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কৃষিতে সমন্বিত চাষাবাদ

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কৃষিতে সমন্বিত চাষাবাদ

বন্যার পর ঘন কুয়াশা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দমে যাননি সৈয়দপুরের চাষী রবিউল (৪৫)। উদ্যম আর ক্লান্তিহীন শ্রমের লব্ধ জ্ঞান দ্বারা লিজ নেয়া পতিত জমিতে মাছ আর ধারে আগাম সবজি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকে ঝুঁকেছে এ চাষাবাদে। জানা যায়, শহরের পৌর ১১ নং ওয়ার্ডের কুন্দল মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের তৃতীয় পুত্র রবিউল। সংসারের অনটনে ছাত্রবস্থায় অন্যর জমি লিজ নিয়ে ১৯৯১ সালে শুরু করেন বাণিজ্যিক নার্সারি। প্রশিক্ষণ গাছের বীজ লাগিয়ে চারা করে তা বিভিন্ন হাট-বাজার বিক্রি করতেন। তার চারা বিক্রির আয় দিয়ে ৭ সদস্যর সংসারে চলত জীবিকা। পাশাপাশি নিজের পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন। দিন-রাতের অক্লান্ত শ্রম দেখে তৎকালীন সৈয়দপুর মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রবিউল নৈশ্য প্রহরী ও মালী পদে নিয়োগ দেয়। তবে শুধু এ চাকরিতে থেমে থাকেনি এ কৃষক। ডিউটির পরই ছুটে যেতেন নিজের হাতে গড়া নার্সারিতে। এভাবে দির্ঘদিন চলার পর ২০১৬ সালে সৈয়দপুর শহর রক্ষা বাঁধের পূর্ব ধারে বার্ষিক ৮৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ৩ একর এক ফসলি পতিত জমি লিজ নেন। শুরুতে এ জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করে আশানুযায়ী লাভ করতে পারেননি। পরের বছর এর ধারে বিভিন্ন সব্জির বীজ লাগান। এতেই কপাল খুলে যায় এ কৃষকের। স্ত্রী, সন্তান সকলের সহযোগিতা ও শ্রমে শীত ও গ্রীষ্মকালীন আগাম সবজি এবং মাছ চাষ করে সচ্ছলতা চলে আসে তার সংসারে। কৃষক রবিউলের পুকুর ধারে গিয়ে দেখা কৃষি বিপ্লবের অন্য রকম দৃশ্য। ৮ ফুট চওড়া ধারে শিম গাছগুলো রঙিন ফুল-ফলে ঝুঁকে পড়েছে। পুকুরের পানির ওপর মাচায় ঝুলছে জালি কুমড়া ও বরবটি। ফলনের অপেক্ষায় পেঁপেসহ নানান সবজির গাছ। চারি ধারে শুধু গাছ । -এম আর মহসিন, সৈয়দপুর থেকে
×