ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপে আলো ছড়ানোর আশা সুয়ারেজের

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিশ্বকাপে আলো ছড়ানোর আশা সুয়ারেজের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে আলো ছড়ানোর পর ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে বার্সিলোনায় যোগ দেন লুইস সুয়ারেজ। কাতালানদের হয়ে নিয়মিত দ্যুতি ছড়িয়ে চলেছেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। এবার বিশ্বকাপে আলো ছড়ানোর পালা। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে কামড় কা-ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তবে এবার রাশিয়া বিশ্বকাপটা নিজের করে নিতে চান ক্ষ্যাপাটে এই ফুটবলার। এক সাক্ষাতকারে এমনই জানিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী সুয়ারেজ। আসন্ন শ্বিকাপে ‘এ’ গ্রুপে খেলবে উরুগুয়ে। বিশ্বকাপের শুরুর দিকেই মাঠে নামা দলগুলোর একটি হবে তারা। ব্যাপারটি ভাবতেই রোমাঞ্চ অনুভব করছেন সুয়ারেজ। চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপটা অদ্ভুত এক কা-ে শেষ হয়েছিল সুয়ারেজের। ইতালির জিওর্জিও চিয়েল্লিনিকে কামড়ে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হাস্যরসের পাত্র হয়েছিলেন। এবারের টুর্নামেন্টে আর বিতর্ক নয়, ইতিবাচক কিছু করে দেখিয়ে দিতে চান তিনি। বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে নিজের লক্ষ্য নিয়ে সুয়ারেজ বলেন, আমি সেখানে এমনভাবে যেতে চাই যাতে বিশ্বকাপটা নিজের করে নেয়ার সম্ভাবনা থাকে। ২০১৪ সালে যা করেছিলাম সেটা পেছনে ফেলতে চাই। আসন্ন বিশ্বকাপে উরুগুয়ের গ্রুপটি বেশ সহজই বলা যায়। এই গ্রুপে তাদের সঙ্গে রয়েছে স্বাগতিক রাশিয়া, মিসর আর সৌদি আরব। তবে সুয়ারেজ নিজেদের গ্রুপকে একেবারে সহজ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, প্রতিটি গ্রুপের মতো এটাও কঠিন এবং জটিল হবে। তাদের দলেও কোচ আছে, যিনি জানেন কিভাবে দলকে প্রস্তুত করতে হয়। দারুণ একটি মৌসুম কাটিয়ে এবার উরুগুয়ের বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিয়েছেন সেল্টা ভিগোর ম্যাক্সি গোমেজ। এক মৌসুমে ১০ গোল করা এই ফরোয়ার্ডকে দলে পাওয়ার বিষয়ে সুয়ারেজ বলেন, আমি তাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিতে চাই, কেননা সে যোগ দিয়েছে (জাতীয় দলে)। তরুণ খেলোয়াড়দের দেখাশোনা করার দরকার আছে। মাঠের ফুটবলে যেমন বাজিমাত করেন তেমনি সমালোচনাও কম নেই সুয়ারেজের। বিভিন্ন সময়ে নানা বিতর্কিত কা- ঘটিয়েছেন তিনি। লিভারপুল ছেড়ে বার্সায় আশা নিয়ে তিনি বলেছিলেন, বার্সিলোনার হয়ে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। তারা যখন আমার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় তখন আর দ্বিধা করিনি। একবাক্যে হ্যাঁ বলে দিই। এটি বিশ্বের সেরা ক্লাবের মধ্যে অন্যতম। ন্যুক্যাম্পে যোগ দেয়ার আগে আমাকে দলে নিতে খুব আগ্রহী ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে। তবে আমার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল শুধুই বার্সা। যে কারণে তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেইনি। ওই সময় যে কোন ধরনের ফুটবলে চার মাস ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৯ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সুয়ারেজ। তবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপীলের পর ক্লাবের হয়ে ‘অনানুষ্ঠানিক’ ম্যাচ খেলার অনুমতি পান। এরপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলেও শুরু করেন খেলা। ব্রাাজিল বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের ম্যাচে ইতালির চিয়েল্লিনিকে কামড় দেয়ায় সুয়ারেজকে যে কোন ধরনের ফুটবলে চার মাস ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৯ ম্যাচ নিষিদ্ধ করে ফিফা। এরপর বার্সিলোনায় যোগ দিলেও ফিফার দেয়া শাস্তির কারণে প্রথমদিকে খেলা তো দূরের কথা, নতুন দলের সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনেও নামতে পারেননি। কিন্তু সুয়ারেজের আপীলের পর আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত শাস্তি না কমালেও কাটালানদের হয়ে তার অনুশীলন করার অনুমতি দেয়। পাশাপাশি ‘অনানুষ্ঠানিক’ প্রস্তুতিমূলক ম্যাচেও তাকে খেলার অনুমতি দেয় সংস্থাটি। এরপর সব শাস্তির মেয়াদ শেষে বার্সার হয়ে নিয়মিত মাঠ মাতিয়ে চলেছেন তিনি। এবার মিশন বিশ্বকাপ...।
×