ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তাদের মুখে গণতন্ত্র শোভা পায় না ॥ শেখ সেলিম

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

তাদের মুখে গণতন্ত্র শোভা পায় না ॥ শেখ সেলিম

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২ ফেব্রুয়ারি ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেছেন, পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি। অথচ দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে এ দেশের মীর জাফররা তাকে হত্যা করে। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তারা পুরো বাঙালী জাতির আশা-আকাক্সক্ষাকেও হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনী বলেই জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। তিনি বলেন, যারা মার্শাল-ল জারি করে ক্ষমতায় আসে তাদের মুখে গণতন্ত্র শোভা পায় না। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছিলেন, আর খালেদা জিয়া গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদসহ যুদ্ধাপরাধী জামায়াতকে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মন্ত্রিত্ব দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি এসব কথা বলেন। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মিসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দীপু মনি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, রেলপথমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক মুজিব এমপি, দলের কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত রায় নন্দী, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ সেলিম আরও বলেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন বাংলাদেশ একটি সন্ত্রাসী জঙ্গী রাষ্ট্র্রে পরিণত হোক। জিয়া যা করেছে খালেদা জিয়াও তা করেছেন। ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পথ বন্ধ করে দেন। বিএনপি একটি সন্ত্রাসীর দল, জঙ্গীর দল, অপরাধীর দল। গত নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত কী করেছে তা এ দেশের মানুষ দেখেছে। তারা আন্দোলনের নামে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। তিনি বলেন, দেশে আর কোন দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না, কোন অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী আছে তারা বুদ্ধি বিক্রি করে খায়। দেশে অনির্বাচিত সরকার আসলে ওই বুদ্ধিজীবীদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। ভারত, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকায় যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয় একই প্রক্রিয়ায় সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশেও আগামী নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, তারা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। ২০১৪ সালের মতো কেউ যদি কিছু করতে চায় তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তিনি বলেন, এক সময় এ বাংলাদেশ ছিল জঙ্গী সন্ত্রাসীর দেশ, আমেরিকা এ দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন বিশ্বনেতারা। দুর্নীতির মামলায় খালেদার যখন বিচার করা হচ্ছে, তখন পুলিশের ওপর হামলা করছে বিএনপি। খালেদাকে প্রতিরোধ করতে হলে আওয়ামী লীগের ঐক্য অটুট রাখতে হবে। নির্বাচন বানচাল করার ক্ষমতা এ দেশে কারো নেই। আর কোন দিন কোন অপশক্তি বা তৃতীয় বাহিনী ক্ষমতায় আসতে পারে না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শিক্ষা, কৃষি, যোগাযোগসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব ও নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে এত উন্নয়ন এত অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়করা শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে। তিনি আরও বলেন, নেতা-কর্মীদেরকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির তথ্য প্রচারসহ তা জনসম্মুখে তুলে ধরতে হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে সংগঠনকে মজবুত করে শেখ হাসিনাকে বারবার ক্ষমতায় এনে ২০৪১ সালে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে হবে।
×