ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্রিজের অভাবে ১৫ গ্রামের মানুষের বিড়ম্বনা

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ব্রিজের অভাবে ১৫ গ্রামের মানুষের বিড়ম্বনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২ ফেব্রুয়ারি ॥ চাটমোহর উপজেলার বহরমপুর-মির্জাপুর এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে । ব্রিজ অভাবে এ এলাকার ১৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ বাঁশের সাঁকোতে নানা বিড়ম্বনার মধ্যে নদী পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীরা। মাঝেমধ্যেই বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হতে তাদেরকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। জানা গেছে, করতোয়া নদীর পূর্বপাড়ে এলাকার বিখ্যাত মির্জাপুর হাট অবস্থিত। রবিবার ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহের দুইদিন এ হাটে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। এছাড়া ব্যাংক, মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজ, মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসা, উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন ভূমি অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রতিষ্ঠান নদীর পূর্বপাড়ে অবস্থিত। ফলে নদীর পশ্চিমপাড়ের বহরমপুর, বেলগাছি, মামাখালী, চিনাভাতকুর, করকোলা, গৌড়নগর, বিন্যাবাড়ি, চরসেনগ্রাম, নটাবাড়িয়া, ধানকুনিয়া, বরদানগরসহ আশপাশের গ্রামের মানুষকে এ সাঁকো পার হয়ে মির্জাপুরে যেতে হয়। আবার নদীর পূর্ব পাড়ের কয়েক গ্রামের মানুষকে পশ্চিম পাড়ের গ্রামগুলোতে যেতে এ সাঁকো পার হয়ে। নদীর পশ্চিম পাড়ের বহরমপুর গ্রামের আব্দুর রশীদ জানান, ছোটবেলা থেকে কেবল শুনে আসছি এখানে ব্রিজ হবে কিন্তু হচ্ছে না। আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে যাতায়াত, আমাদের চলাফেরা, হাটে পণ্য আনা-নেয়া, সন্তান সম্ভবা মা-বোন অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে তাদের কষ্টের সীমা থাকে না। বেলগাছি গ্রামের দুলাল পাল জানান, তাদের তৈরিকৃত মাটির হাড়িপাতিল কাঁধে বাইকে করে নিয়ে এ সাঁকো পার হয়ে হাটে যেতে হয়। আষাঢ় থেকে কার্তিক এ পাঁচ মাস নদীতে পানি থাকে তখন খেয়া নৌকায় আর অগ্রহায়ণ থেকে জ্যৈষ্ঠ এ সাত মাস সাঁকোয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়।
×