ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকার হাসপাতালে বিমান হামলা

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকার হাসপাতালে বিমান হামলা

সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত হামা প্রদেশে ৬০ ফুট পাহাড়ী গুহার নিচে তৈরি এক হাসপাতাল প্রচ- বিমান হামলায় দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়, বৃহস্পতিবার পরিচালিত এই বিমান হামলায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও হাসপাতালে পরিচালিত বোমা হামলার মধ্যে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক বলে পরিগণিত হচ্ছে। কাফর জিতা শহরে আল মাখারা নামের এই গুহা হাসপাতালটিকে সবচেয়ে সুরক্ষিত বলে ধারণা করা হতো। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মারণাস্ত্র দিয়ে পরপর পাঁচবার বিমান হামলা চালিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগটি কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা হয়। এখানে প্রতি মাসে ১৫০টি জটিল অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হতো। ইউনিয়ন অব মেডিক্যাল কেয়ার এ্যান্ড রিলিফ অর্গানাইজেশন নামে একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার একজন ডাক্তার জানান যে, জেট জঙ্গী বিমানের আওয়াজ শুনে হাসপাতালের স্টাফ ও রোগীদের সরিয়ে না নিলে বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটত। ইউওএসএসএম সংস্থাটি জানায়, অতি উন্নত প্রযুক্তির বাঙ্কার ধ্বংস করার ক্ষমতা সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা না চালালে এত নিচে সুরক্ষিত পাহাড়ী গুহা ক্ষতিগ্রস্ত করা সম্ভব ছিল না। মানবতাবাদী এই স্বাস্থ্য সংস্থার ডাক্তার ডি সুজা বলেছেন, যুদ্ধ চলাকালে এ পর্যন্ত যতো হাসপাতালে হামলা হয়েছে তন্মধ্যে এটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলা যেতে পারে। সংস্থাটির হিসাব মতে, গত মাসেই (জানুয়ারি) ১৪টি সেবা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। সর্বশেষ এই বিমান হামলা কারা চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সিরীয় বিমানবাহিনী ও তাদের মিত্র রাশিয়া বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদার করেছে। তবে দেশ দু’টি তাদের হামলা চলাকালে কোন বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার কথা অস্বীকার করেছে। এদিকে সিরিয়া সংক্রান্ত জাতিসংঘ মানবিক সমন্বয়কারী এই মর্মে সতর্ক করেছেন যে, সরকারী বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ বিদ্রোহী এলাকায় তারা ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে পারছেন না। জ্যান ইগল্যান্ড নামের এই সমন্বয়কারী বলেন, গত নবেম্বরের শেষ দিকে তারা তাদের সর্বশেষ ত্রাণবহর পাঠিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের কার্যক্রম নির্বিঘ্ন সম্পন্ন করার জন্য এই এলাকায় যুদ্ধের অবসান হওয়া দরকার এবং এজন্য রাশিয়া, তুরস্ক ও সিরিয়ার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। -ওয়েবসাইট
×