ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে তিন ট্যুরিজম পার্ক হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কক্সবাজারে তিন ট্যুরিজম পার্ক হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কক্সবাজার জেলায় তিন ট্যুরিজম পার্ক হচ্ছে। আগামী ৫ বছর এসব পার্কে দুই লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি এ খাত হতে প্রতি বছর প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের আয় হবে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে আয়োজিত ‘আনলকিং ট্যুরিজম অপরচুনিটিস ঃ এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম পার্ক’স ইন কক্সবাজার’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ট্যুরিজম সেক্টরে ট্যাক্স হলিডে নিশ্চিত হলে বা কিছুটা কম হলে এ ব্যবসার প্রসার ঘটবে এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বেজা এসব পার্ক স্থাপন করে বিদেশী পর্যটক আনায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরি। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনে যে সমস্ত সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা দূরকরণে যা কিছু করা প্রয়োজন তা নিয়ে বেজা কাজ করতে চায়।’ বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশা করেন নাফ, সাবরাং এবং সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক এখন বাস্তবতা, সেখানে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে, যা দ্রুত শেষ হবে এবং পর্যায়ক্রমে পর্যটকদের জন্য উন্মেচন করা হবে। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলাম। তিনি বলেন, ‘রেল পথ নির্মাণ দ্রুত সম্পন্ন হলে এসব ট্যুরিজম পার্কে টুরিস্টদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।’ তিনি ভিলেজ ট্যুরিজম অক্ষুণœ রাখার ওপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘উন্নত বাংলাদেশ গড়তে, কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে এবং পরিকল্পিকিত ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনে নাফ ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম ভূমিকা পালন করবে।’ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহিদুল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘পরিকল্পিত ট্যুরিজম পার্ক উন্নয়নে সরকারের অন্য বিভাগের মতো গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
×