ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবি কারুশিল্প বিভাগের বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ঢাবি কারুশিল্প বিভাগের বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্যালারিতে প্রবেশ করেই চোখে পড়বে কাঠ মাধ্যমে তৈরি হাতির চিত্র। গ্যালারির অন্যদিকে রয়েছে মেটাল ওয়ার্কে দেবী দুর্গা ও কারুকার্য খচিত কুলা, ব্লকপ্রিন্টে লক্ষ্মীপ্যাঁচা, ট্যাপেস্ট্রি মাধ্যমে মুখের অবায়বসহ বেশ কিছু কারুশিল্প। উড, ট্যাপেস্ট্রি, মেটাল, এপলিক, বাটিক ও লেদার বাটিকের মাধ্যমের এ সব শিল্পকর্ম তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের কারু বিভাগের প্রথম বর্ষ বিএফএ অনার্স থেকে এমএফএ দ্বিতীয় পর্বের ৪৪ শিক্ষার্থী। চারুকলার জয়নুল গ্যালারিতে এসব কারুশিল্প নিয়ে শুরু হয়েছে কারুশিল্প বিভাগের ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০১৭’। বৃহস্পতিবার দুপুরে সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চারুকলার ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক শিল্প আবুল র্বাক আলভী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কারুশিল্প বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রদর্শনীর আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল মোমেন মিল্টন ও অধ্যাপক মোঃ নজিব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। প্রদর্শনী উদ্বোধনের সময় উপাচার্য বলেন, কারুশিল্প বাংলাদেশের নিজস্ব ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যের কারণে শিল্পকলার ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় প্রাচীনকাল থেকে এক গৌরবোজ্জ্বল স্থান দখল করে আছে এদেশের কারুশিল্প। শিক্ষার্থীরা এই গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। গতানুগতিক কারুশিল্পের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে আধুনিক ও যুগপোযোগী শিক্ষা অর্জনের প্রয়োজনেই বার্ষিক প্রদর্শনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আন্তরিকভাবে আশা পোষণ করি শিক্ষার্থীরা সেই লক্ষ্যে স্থির থেকেই কারুশিল্প মাধ্যমে ঐতিহ্যের বিকাশ ঘটাবে বিশ্বময়। চারুকলার শিক্ষার্থী প্রিথার একক কণ্ঠে ‘আমি তোমায় বড় ভালবাসি’ গানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। অতিথিদের আলোচনার পর প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া বিজয়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করেন উপাচার্য। এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন- মুনমুন পাল, অনন্যা দাশ, সত্যানন্দ রায়, সুহানা শিহাব এমা, মাহানাজ আশরাফ, আরিফা আফরিণ উর্মি ও রেজাউল করিম রিজন। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ৮৯টি শিল্পকর্ম এবং চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ছায়ানটের নৃত্যোৎসব আজ ॥ ছায়ানটের আয়োজনে নৃত্যোৎসব ১৪২৪ শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। ছায়ানটের প্রধান মিলনায়তনে আয়োজিত এবারের উৎসব নৃত্যগুরু বিপিন সিংয়ের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। ছায়ানটের নৃত্য বিভাগের প্রধান শিল্পী শর্মিলা বন্দোপাধ্যায় জানান, আমরা ছয় বছর ধরে এই নৃত্যোৎসব উদ্যাপন করে আসছি। আমাদের দেশের নৃত্যশিল্পী ও শিক্ষার্থীদের জন্য এ উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে মণিপুরী নৃত্যে পদ্ধতিগত প্রশিক্ষণ শুরু হয় নৃত্যগুরু বিপিন সিংয়ের ছাত্রী শান্তিবালা সিংয়ের মাধ্যমে। এবং এটা শুরু হয় ছায়ানটেই। তারপর থেকে বিপিন সিংয়ের নৃত্যঘরানা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা পায়। উপমহাদেশের প্রখ্যাত নৃত্যগুরু বিপিন সিংয়ের একশতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ওনার নামেই এবার এ উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে। উৎসবে একক ও দলীয়ভাবে মণিপুরী, ভরতনাট্যম ও কত্থক নৃত্য পরিবেশন হবে। শিল্পী কাজী সালাউদ্দিন আহমেদের একক চিত্র প্রদর্শনী শুরু আলিয়ঁসে ॥ আলিয়ঁস ফ্রঁসেস দো ঢাকার লা গ্যালারিতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে শিল্পী কাজী সালাউদ্দিন আহমেদের ‘খ-িত অবিচ্ছে’ শীর্ষক একক চিত্র প্রদর্শনী। এদিন সন্ধ্যায় প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং সীমা হামিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেসের পরিচালক ব্রুনো প্লাস। তার স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী পর্ব। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে শিল্পীর ১০টি চিত্রকর্ম। এগুলো বিভিন্নতার সংমিশ্রণ হতে উদগত। যেথা গণমানুষের জীবন পরস্পরের সান্নিধ্যের আনন্দে উদ্ভাসিত, যে সান্নিধ্য প্রগাঢ় সংলগ্নতার জন্ম দেয়। গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা সব দালানকোঠা, রাস্তাগুলো যেন নক্সার মাঝে পরস্পর জড়াজড়ি করে থাকা সুতোর বুনোট, সরু গলিতে বন্ধ অথবা খোলা দরজা-জানালার পাল্লা। এ সবই পুরনো ঢাকায় গড়ে ওঠা পরস্পর ঘণিষ্ঠ সামাজিকতার এক একটি উপাদান। প্রদর্শনীটি চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি খোলা থাকবে। রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
×