ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে তিনদিনের চা প্রদর্শনী ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রাজধানীতে তিনদিনের চা প্রদর্শনী  ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দ্বিতীয়বারের মতো রাজধানী ঢাকায় তিনদিনব্যাপী চা প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে। আগামী ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে অনুষ্ঠিতব্য এবারের চা প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চা বোর্ডের উদ্যোগে এবারের প্রদর্শনীতে দেশী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কয়েকটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। দেশের চা শিল্প বিকাশে সকল পক্ষকে একত্রিত করা এবং চা শিল্পকে সকলের সামনে তুলে ধরতে এ বছর বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী-২০১৮ আয়োজন করা হয়েছে। এ বছর একটি ক্লোনজাত বিটি-২১ অবমুক্ত করা হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী-২০১৮ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই দেশে চা শিল্পের বিকাশ ও সম্প্রসারণ শুরু হয়। তিনিই প্রথম বাঙালী যিনি চা বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৫৭-৫৮ সময়ে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চা শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এবার পুরস্কার দেয়া হবে। শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, দৃষ্টিনন্দন চা মোড়ক, চা উৎপাদন, চায়ের গুণগতমান, বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণ, শ্রেষ্ঠ স্মল গ্রোয়ারকে পুরস্কার, প্রদর্শনীর জন্য শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়নকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। চা প্রদর্শনীতে এবার সহযোগী হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ চা সংসদ, এম এম ইস্পাহানী লিমিটেড, দি কনসোলিডেটেড টি এ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি (বাংলাদেশ) লি. ফিনলে, আবুল খায়ের কনসিউমার প্রডাক্টস লি. ডানকান ব্রাদার্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড, হালদা ভ্যালি টি কোম্পানি লি. সিটি গ্রুপ ও ওরিয়েন গ্রুপ লি.। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ১৯৯ দেশে প্রায় ৭৫০টির মতো পণ্য বিক্রি করছে বাংলাদেশ। আর আগে শুধু চা, পাট ও চামড়া রফতানি হতো। তিনি বলেন, চা শিল্পকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কৃষকের লাভের কথা বিবেচনা করে চালের কেজি ৪০ টাকার নিচে আর কখনও নামবে না। তিনি বলেন, চালের দাম এ্যারাউন্ড ৪০ টাকাই থাকবে, সেটাই বর্তমানে আছে। চাল নিয়ে জাতীয় সংসদে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং নিজের দুই রকম তথ্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি বলেছি সরকারী-বেসরকারী মিলে আমদানি ২৮ লাখ মেট্রিক টন। তিনি (খাদ্যমন্ত্রী) উত্তর দিয়েছেন ৮ লাখ মেট্রিক টন, সেটা সরকারী অন্তর্ভুক্ত। আর মিডিয়ায় বলল, দুই মন্ত্রীর দুই রকম তথ্য। গত বছর হাওড়াঞ্চলে ১০ লাখ মেট্রিক টন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশ উদ্বৃত্ত থেকে খাদ্য ঘাটতির দিকে যাচ্ছে কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতেও বন্যায় পেঁয়াজ এবং ধানের ক্ষতি হয়েছে। আমরা এখন খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে থাকব। বন্যার পর ফসল আসছে এবং আসবে। আমার জন্মস্থান ভোলায় চাহিদার থেকে চার লাখ মেট্রিক টন বেশি উৎপাদিত হয়েছে। সুতরাং আমরা উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবেই থাকব। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২৪ জানুয়ারি মোটা চালের পাইকারি দাম ৩৮-৪০ টাকা, খুচরা মূল্য ৪৩-৪৫ টাকা। আমরা সরকারী দাম নির্ধারণ করেছি ৩৯ টাকা, এ্যারাউন্ড ৩৯ টাকাই থাকবে। বর্তমানে চালের বাজার দর স্বাভাবিক মনে করছেন কিনা? প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষকের দিকেও তো খেয়াল রাখতে হবে। চালের দাম তখন কম ছিল, সাংবাদিকরাও লিখেছেন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, উৎপাদন খরচ এই, বাজারে পাচ্ছে এই। এজন্য কৃষককে গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষক যদি চাল উৎপাদন থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। সেজন্য আমার ব্যক্তিগত মতামত ৪০ টাকার নিচে কখনও চালের দাম আসবে না আর। এটা আমি মনে করি এবং এটা বাস্তবসম্মতও না। সুতরাং চালের দাম এ্যারাউন্ড ৪০ টাকাই থাকবে এবং সেইটাই বর্তমানে আছে।
×