ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আকিল জামান ইনু

হৃদয়ে বাংলাদেশ কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ

প্রকাশিত: ০৩:২৫, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

হৃদয়ে বাংলাদেশ কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ

অপরাজিতা : একনজরে অপালা বসু অপালা : পিতা-মাতা ও দু’বোনের সংসারে বেড়ে ওঠা। পিতা সরকারী কর্মকর্তা। পৈত্রিক নিবাস বাংলাদেশের পাবনা জেলায়। কলকাতায় জন্ম ও বড় হওয়া। পড়াশোনা সেন্ট জোন্স ডিসেজান গার্লস স্কুল, লরেটো কলেজ হয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে এমএ। বৈবাহিক সূত্রে অপালা চৌধুরী থেকে বসু। দুই কন্যার জননী অপালা ‘রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার’-এ শিক্ষকতায় নিয়োজিত। স্বামী পেশায় চিকিৎসক। অপরাজিতা : নিজেকে নারী হিসেবে প্রথম আলাদা করে অনুভব করা। অপালা : আমার বেলায় বিষয়টি বেশ মজার। তখন অষ্টম/নবম শ্রেণীর ছাত্রী। সরস্বতী পূজায় সেজেগুজে বের হয়ে দেখলাম অন্যদের চেয়ে আমি একটু বেশিই প্রাধান্য পাচ্ছি এবং সেটা মেয়ে বলেই। অপরাজিতা : নারী হিসেবে কখনও মনে হয়েছে যদি পুরুষ হতাম। অপালা : (হেসে ফেলে) শুধু একটা ক্ষেত্রে। সন্ধ্যেয় বাড়ি ফেরা ছিল বাধ্যতামূলক অথচ ছেলে বন্ধুরা ৬টা-৯টা সিনেমায় যেত। তখন মনে হতো ইস্্ যদি ছেলে হতাম! অপরাজিতা : নারী অধিকার, স্বাধীনতা এসব নিয়ে কথা হচ্ছে বিস্তর কিন্তু দিন শেষে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না খুব একটা। উত্তরণের উপায়। অপালা : সত্যি যে, আমরা যতটা বলছি সে তুলনায় পরিবর্তনের গতি অনেক ধীর। আমরা নারীরা এখনও অন্ধকারের ভীতি জয় করতে পারিনি। একজন নারী, মা হয়ে আমি এখনও নিজের মেয়েকে বলি, ‘রাতে বের হয়ো না।’ উত্তরণের জন্য পরিবর্তন আনতে হবে চেতনায়, চাই সুশিক্ষা। এগিয়ে আসতে হবে নারী-পুরুষ দু’পক্ষকেই। পরিবর্তন চাই ভেতর থেকে এবং সমাজের উঁচু থেকে নিচ তলায় সর্বত্র। একজন মা হিসেবে আমি আমার পুত্রকে নারীকে সম্মান দিতে শেখালেও অবস্থা বদলাতে পারে। অপরাজিতা : ‘নারীবাদ’ বহুল চর্চিত শব্দ এখন। কিছু উগ্র নারীবাদী দাবি-দাওয়া আমরা দেখছি। যেহেতু পুরুষেরা অনেক এগিয়ে গেছে তাই সবক্ষেত্রে চাই বিশেষ সুবিধা। ধরুন আজ আইন করে নারীদের জন্য একটার বদলে দুটো ভোটের ব্যবস্থা করা হলো। তাতে কি রাতারাতি বদলে যাবে পরিস্থিতি। অপালা : স্পষ্ট করে বলছিÑ পুরুষ এগিয়ে গেছে আমি এভাবে ভাবি না। আর দাবি-দাওয়ার নামে সংঘাত সৃষ্টি করে কিছু অর্জিত হবে তাও বিশ্বাস করি না। যদি পিছিয়ে থাকার কথা বলি পুরুষদের চাইতে শারীরিক শক্তিতে আমরা পিছিয়ে আছি। আবার কিছু জায়গায় আমরা এগিয়ে যেমন- মাতৃত্ব। দু’পক্ষ মিলেই সঙ্কটের জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং সমঝোতার মন নিয়ে সমাধানের পথে হাঁটতে হবে। অপরাজিতা : এই ২০১৮তেও একজন নারী তার ওপর হওয়া অন্যায় অবিচার নীরবে হজম করছেন সমাজ, লোকলজ্জার ভয়ে। এখন আপনি যদি বিচার না চান আইন আপনাকে কিভাবে সাহায্য করবে? অপালা : অধিকার কেবল কেতাবে থাকলেই হয় না তা বুঝে নেয়ার একটা বিষয় কিন্তু আছে। আপনি ঠিকই বলেছেন বিচার চাইতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা, দীর্ঘসূত্রতা এগুলোও কিন্তু একটা বড় বাধা। এই পুরুষ শাসিত সমাজে বিচার চাইতে গিয়ে আমার সে জালেই আটকে যাওয়ার ভয় আছে। তবে নতুন প্রজন্ম নিয়ে আমি আশাবাদী। আমরা যা পারিনি- ওরা কিন্তু তা করছে। সাফল্যও আসছে। অপরাজিতা : সারা পৃথিবীতে যে কোন প্রতিবাদ, আন্দোলনে যখন নারীরা এগিয়ে তখন দু’একটি ব্যতিক্রম বাদে আমাদের উপমহাদেশের চিত্রটা ভিন্ন। অথচ তিনটি দেশই কিন্তু নারী সরকারপ্রধান দেখেছে। অপালা : তিনটি দেশেই কিন্তু শিক্ষার অভাব, অর্থনৈতিক দৈন্য, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, সমাজ ব্যবস্থার চিত্রটা অনেকাংশেই এক। চিত্রগুলো না বদলালে কেবল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দু’একজন নারী এককভাবে কী করতে পারেন বা কতটুকু সম্ভব তার একার পক্ষে। তার পরও প্রতীকী অর্থে নিলেও এটিকে নারীদের জন্য একটি অর্জন বলেই দেখি। অপরাজিতা : নিয়তির দোহাই দিয়ে দিনের পর দিন অন্যায় সয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা নারীদের মধ্যে আছে। কি বলবেন? অপালা : দুঃখজনক। শিক্ষার অভাবও এর বড় কারণ। পাশাপাশি বাস্তবতাও তাকে বাধ্য করে। দেখুন একজন নারীর জন্য সংসার বিশেষ করে সন্তান এমন এক দুর্বলতা যা তাকে অনেক ক্ষেত্রেই বাধ্য করে নিয়তির আশ্রয় নিতে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাও বড় একটি কারণ। অপরাজিতা : এমন কোন গ্রন্থ যা আপনার জীবনকে বদলে দিয়েছে। অপালা : নির্দিষ্ট করে কোন গ্রন্থের নাম বলছি না তবে আশাপূর্ণা দেবীর রচনাবলী আমাকে আলোড়িত করে, ছুঁয়ে যায়। গুরুদেব তো আছেনই। অপরাজিতা : যদি বেছে নেয়ার সুযোগ থাকত তবে বাস্তবে কোন্ নারী চরিত্র হয়ে জন্মাতে চাইতেন। অপালা : এক কথায় ইন্দিরা গান্ধী। অপরাজিতা : আপনার জীবনসঙ্গী ডাঃ শিবাজী বসু, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক মহান সুহৃদ তাকে নিয়ে কিছু... অপালা : শিবাজী আপনাদের ফরিদপুরের আলদি গ্রামের ছেলে। এ মুহূর্তে ‘ফর্টিজ’ হসপিটালের ইউরোলজির বিভাগীয় প্রধান। ওর সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৭৮-এ। আমি তখন লরেটোর ছাত্রী। পরিচয় থেকে প্রেম। ৭৯ তে বিয়ে। আমাদের দুটো মেয়ে আছে। শিবাজী আপাদমস্তক বাঙালী। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ওর হৃদয়জুড়ে। ’৭১-এর সেই উত্তাল দিনগুলোতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাঃ সত্যেন বসুর নেতৃত্বে যে ৮ সদস্যের চিকিৎসক দল গঠিত হয় ও ছিল তার কণিষ্ঠ সদস্য। এই তো। অপরাজিতা : যতদূর জানি ডাঃ বসু ইউরোলজিতে ভারতের প্রথম কয়েকজনের মধ্যে একজন আর মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা- দুটোই কমিয়ে বললেন! অপালা : দেখুন ও চিকিৎসক হিসেবে কেমন সেটা না হয় লোকে বলুক। আর মুক্তিযুদ্ধে নিজের ভূমিকা নিয়ে বেশি প্রচারে সে নিজেই আগ্রহী নয়, তার ভাষায় সেটি ছিল তার জন্মভূমির ঋণ সামান্য হলেও পরিশোধের সুযোগ। তার শুধু একটা চাওয়া ছিল মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ৩০০ ভারতীয় ডাক্তারের একটি তালিকা যদি কোন সরকার করত। অপরাজিতা : ‘বাঙালীর জীবনে রবীন্দ্রনাথ’ বিষয়টিকে কিভাবে দেখেন? অপালা : এক বাক্যে বলব, রবীন্দ্রনাথ ছাড়া বাঙালী অসম্পূর্ণ, গাছের যেমন শেকড় রবীন্দ্রনাথও আমাদের তাই। অপরাজিতা : রবীন্দ্রনাথ এর সৃষ্টিশীলতার বিচিত্র বিচরণ ক্ষেত্র, তার বহুমুখী রচনা সম্ভার থেকে একটিকে বেছে নিতে বললে কোন্টি বলবেন। অপালা : গান এবং গান। রবীন্দ্রনাথ নিজেও বলে গেছেন তিনি তার গানে বেঁচে থাকবেন। অপরাজিতা : আপনার গান শেখার শুরু এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত বেছে নেয়া সম্পর্কে? অপালা : গান শেখার শুরুটা পরিবার থেকে সেই শৈশবে। আর যদি রবীন্দ্রসঙ্গীতের কথা বলেন আমার বেড়ে ওঠা রাবীন্দ্রিক আবহে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ভাল লাগা বেড়েছে বলতে পারেন প্রেমে পড়া। জীবনের এই পর্যায়ে এসে সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রেমে পড়েছিলাম বলে। অপরাজিতা : রবীন্দ্রনাথের কোন্ পর্বের গানের কথা আপনি আলাদা করে বলবেন, কেন? অপালা : খুব কঠিন অবস্থায় ফেললেন। রীতিমতো বিপদে। কখন যে কোন্ পর্বের গান ছুঁয়ে দেয়! তবে পূজা পর্বের গানের কথা আলাদা করে বলা যেতে পারে। এ পর্বের গানে আমি মুক্তি খুঁজে পাই। এ গানগুলো আমার অনুভূতির নিঃশর্ত সমর্পণের জায়গা। যে সমর্পণ শেষে আমি শুদ্ধ হয়ে উঠি। অপরাজিতা : কিছু গান, কবিতায় আমরা খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী রবীন্দ্রনাথকে দেখি যেমন ঐ মহামানব আসে, গীতবিতানের ভূমিকার গানটির শেষ লাইনের রবি বা চির নতুনের দিল ডাক। বিষয়টি কিভাবে দেখেন। অপালা : আপনি বোধকরি অহঙ্কার শব্দটি ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেলেন, তার গানে তিনি বেঁচে থাকবেন এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত ছিলেন, নিজেই বলেছেন। আর চির নতুনেরে দিল ডাক কিন্তু ২৩ বৈশাখ ১৩৪৮ এ শান্তি দেব ঘোষের অনুরোধে লেখা। প্রতি ২৫ বৈশাখ যদি নতুনের ডাক দিয়ে যায় ক্ষতি কী? বাঙালীর আমার গান শুনতে হবেÑ এটিকে আমি অহঙ্কার নয় আশীর্বাদ হিসেবে দেখি। অপরাজিতা : তার বাউলাঙ্গের গান নিয়ে যদি বলি, ঠিক মাটির কাছে লাগে না। বিষয়টি কি শব্দ ব্যবহার ও সুরের কারণে? অপালা : আমি আপনাকে একটি বিষয় মনে করিয়ে দেই। শরৎচন্দ্রের ভাষায়, আমরা লিখি সাধারণ মানুষের জন্য, বরীন্দ্রনাথ লিখেন আমাদের জন্য। এখানেই উনি আলাদা। মানছি কিছু ক্ষেত্রে সুর একঘেয়ে লাগতে পারে তবে বাণীপ্রধান বিধায় শব্দের ব্যবহার আপনার কাছে প্রচলিত বাউলাঙ্গের গানের চেয়ে একটু ভিন্ন লাগতে পারে; এটা তো সত্যি তার নিজস্ব ভাষারীতি ছিল এবং এ আঙ্গিকের গানেও উনি সেটিই ধরে রেখেছেন। আহ্বানে বাউলিয়ানা শতভাগ এতে কোন সন্দেহ নেই। অপরাজিতা : রবীন্দ্রনাথের ভাঙ্গা গান নিয়ে কিছু বলবেন। অপালা : নিশ্চয়ই, শিল্প তো দেয়া আর নেয়া নিয়েই। উনি নিজেও প্রচুর নিয়েছেন সেটা সুর, ভাব দুটোই হতে পারে। তবে কালানুক্রকিমভাবে এ গানগুলোর ইতিহাসসহ তালিকা খুব প্রয়োজনীয়। আরেকটি কথা আপনি যেমন বলছিলেন তার ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকে লেখা গানগুলোর ইতিহাস নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি রয়ে গেছে সেটাও পরিষ্কার হওয়া উচিত। অপরাজিতা : আপনার প্রিয় শিল্পী এবং প্রথাগত ধারার বাইরে যারা রবীন্দ্রসঙ্গীত বিস্তারে ভূমিকা রেখেছেন তাদের নিয়ে অপালা : তালিকাটা এত বড় কার কথা বলি? সুচিত্রা মিত্র, কণিকা বন্দোপাধ্যায়, সানজিদা খাতুন, কলিম শরাফী, গীতা ঘটক, স্বাগতালক্ষ্মী, বন্যা, মনোময়, বিক্রম, লিসা আরো অনেক, অনেক। প্রথাগত ধারার বাইরে, কিন্তু রবীন্দ্রসঙ্গীতের জনপ্রিয়তায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের অবদান কি অস্বীকার করা সম্ভব? অপরাজিতা : রবীন্দ্রনাথের গানের সুর নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে আবার তিনি স্বরলিপি করে জাননি এমন কিছু গান স্বাগতালক্ষ্মী সুর করছেন এ বিষয়ে আপনার মতামত... অপালা : স্বরলিপি নেই বা হারিয়ে গেছে এমন গানগুলোর সুর কাউকে তো করতেই হবে। এক্ষেত্রে স্বাগতালক্ষ্মী নিঃসন্দেহে যোগ্যতম। আর সুর নিয়ে বিতর্ক বলতে আপনি যদি মূল স্বরলিপি থেকে সরে আসা বলেন তাহলে বলব, মানুষ যদি নেয় তবে একটা পর্যায় পর্যন্ত ঠিক আছে। তার মানে কিন্তু বিকৃতি নয়। অপরাজিতা : রবীন্দ্রনাথ ভারতের জাতীয় কবি, জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা তার পরও যদি বলি সর্বভারতীয় প্রেক্ষিতে তার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়; কি বলবেন। অপালা : অস্বীকার করছি না। আমি আমার সংগঠন ‘সুরলোক’ নিয়ে ভারতজুড়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেছি। কথা প্রসঙ্গে আপনি যেভাবে বলছিলেন প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার বাইরে- অতটা না হলেও সংখ্যায় কম, হয়ত খুব কম তবু কিছু অনুরাগী এখনও আছেন সবখানেই। এই পরিস্থিতি বদলাতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। অপরাজিতা : একটা বিষয় প্রায়ই শুনি রবীন্দ্রসঙ্গীত বুঝে শেখাÑ যদি বলি সেভাবে অর্থ বুঝিয়ে শেখানো এবং তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাকারীর সংখ্যা কমছে। কি বলবেন? অপালা : আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি সুচিত্রা মিত্র যখন আমায় বুঝিয়ে দিলেন, ‘আমি বহু বাসনায় প্রাণপণে চাই গানটি’ আমার চেনা গানটি যেন বদলে গেল। আমরা এখন কেবল গাইতে চাই, আমি নিজেকেও সে দলে রাখছি। আপনাদের এখানে সানজিদা খাতুন এ বিষয়ে প্রচুর কাজ করেছেন, করছেন। নতুন প্রজন্মের অনেকেই উঠে আসছেন এ পথে। আমি আশাবাদী। আর শুধু তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাকারীর সংখ্যা কমে আসার যে কথা আপনি বলেন বিষয়টি শঙ্কা জাগায়। অপরাজিতা : দেখুন রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা, রচনা নিয়ে বিতর্কও কম নয়। তার জীবদ্দশায় সমর সেন তার কবিতাকে বলেছেন জোল, বুদ্ধদেব বসু তো ‘ঞযব বৎধ ড়ভ জধনরহফৎধহধঃয রং ড়াবৎ’ বলে ঘোষণাই দিলেন ১৯৩৮-এ। ডি, এল রায়ের সঙ্গে গান নিয়েও তো কম হলো না। কিভাবে দেখেন খুব সংক্ষেপে। অপালা : আপনি যাদের নাম বললেন সবাই নমস্য। আমি শুধু বলব তারা রবীন্দ্রনাথ গুলে খেয়ে তারপর তাদের মত দিয়েছেন। এটিও রবীন্দ্রনাথের এক ধরনের প্রাপ্তি। তাদের মতের বিচার সময় করবে। তারা তাদের জায়গা থেকে বলেছেন। আমি বুঝি রবীন্দ্রনাথ আমার প্রাণের মানুষ। আমি যখন যা চেয়েছি, তার কাছে ঠিক তাই পেয়েছি। অপরাজিতা : অন্তরে নিরন্তর বাজে এমন কোন গান। অপালা : আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে... অপরাজিতা : অপালা বসু, সময় দেয়ার জন্য জনকণ্ঠের পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার মাধ্যমে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা ডাঃ শিবাজী বসুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ভাল থাকবেন। অপালা : জনকণ্ঠ পরিবারের জন্য রইল আমার শুভ কামনা।
×