ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিচিত্র তথ্য

প্রকাশিত: ০৩:২০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিচিত্র তথ্য

ভয়ঙ্কর মজার খেলা বো তাওশি প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব কোণে অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশ জাপান। প্রযুক্তির মুন্সিয়ানায় বিশ্ব যেমন মাতিয়ে রেখেছে জাপানিরা তেমনি শিল্প-সাহিত্যে, চিত্রকলা কিংবা ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাদের সাফল্য ঈর্ষণীয়। সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে এমন কিছু অদ্ভুত এবং ঐতিহ্যবাহী খেলা রয়েছে যা অন্য দেশগুলোতে খুব একটা দেখা যায় না। বো তাওশি তেমনই একটি মজার খেলা। অন্যান্য দেশে হেপবার্ণ বা পোল টপলিং নামে পরিচিত এই খেলায় মোট খেলোয়াড় ১৫০ জন। দুই দলে ভাগ হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করে তারা। প্রতি দলে ৭৫ জন করে খেলোয়াড় থাকে। এক পক্ষে থাকে আক্রমণকারী খেলোয়াড় এবং অন্য পক্ষে থাকে প্রতিরোধকারী খেলোয়াড়। উভয় পক্ষের মধ্যে একটি পোল বা খুঁটি দখলের লড়াই চলে। ষোলো ফুট দীর্ঘ এই খুঁটি দখলের জন্য উভয় দলের খেলোয়াড়েরা প্রাণান্ত চেষ্টা চালায়। খুঁটি দখলের এই লড়াইয়ে তারা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে শারীরিকভাবে আঘাত করতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। তবে শুধু খুঁটি দখল করলেই হবে না সেটিকে ভূমির সঙ্গে ৩০ ডিগ্রী কোণে বাঁকালেই তাদের জয়ী ঘোষণা করা হয়। ফলে বো তাওশি খেলা দেখতে যতটা মজার খেলতে কিন্তু ততটা মজার নয়। কারণ ভয়ঙ্কর এই খেলায় অনায়াসে খেলোয়াড়ের হাত-পা ভেঙে যেতে পারে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। তবে খেলাটি যতই ভয়ঙ্কর হোক না কেন জাপানে কিন্তু এটি ভীষণ জনপ্রিয়। প্রতি বছর জাপানের স্কুলগুলোতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এই খেলা হয়। বালির প্রাসাদে ২২ বছর আমাদের দেশে একটি প্রচলিত বাগধারা ‘বালির বাঁধ’। কোনো কিছু ক্ষণস্থায়ী বা ভঙ্গুর হলেই তাকে বালির বাঁধের সঙ্গে তুলনা করা হয়। কিন্তু চিরায়ত এই বাগধারা মিথ্যা প্রমাণ করে শুধু বালি দিয়ে তৈরি জিনিসও যে যুগের পর যুগ টিকে থাকে তারই দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন এক ব্যক্তি। এই ব্যক্তির বাস ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর সাগরপাড়ে। ‘সৈকতের রাজা’ নামে পরিচিত এই ব্যক্তির নাম মার্শিয়ো মিজায়েল মাতোলিয়াস। প্রায় দুই যুগ আগে তিনি বালি দিয়ে সাগর পাড়ে একটি ঘর বেঁধেছিলেন। দুর্গের মতো দেখতে বাড়িটি বাইশ বছর পরেও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। খানিকটা নিভৃতচারী মাতোলিয়াস ব্যক্তিজীবনে অবিবাহিত। বইপড়া, গলফ খেলা এবং মাছধরা তার শখ। নিরিবিলি থাকতে ভালবাসেন বলেই তিনি এই বালির প্রাসাদ তৈরি করেছেন। নিতান্ত শখরে বসে গড়া এই প্রাসাদ যে এতটা কাল স্থায়ী হবে তা তিনি নিজেও কল্পনা করেননি। তবে প্রাসাদটি টিকিয়ে রাখতে তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। প্রতিদিন পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা বা ভেঙে পড়া জায়গাগুলো তাকে নিজ হাতে মেরামত করতে হয়েছে। স্থানীয় একটি দৈনিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মাতোলিয়াস বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই সাগরের তীরে বড় হয়েছি। মানুষ হাজার হাজার টাকা খরচ করে সাগরের তীরে বসবাস করার জন্য। আমার যেহেতু টাকা খরচ করার সামর্থ্য ছিল না যার কারণে আমাকে এই বিকল্প পথ বেছে নিতে হয়েছে।’ শাহিদুল ইসলাম
×