ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইনস্টাগ্রামে টম ক্রুজ

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ইনস্টাগ্রামে টম ক্রুজ

ছবি শেয়ার করার সোশ্যাল সাইট ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলেই মেলে তারকাদের নানা খবর। অবশ্য হলিউড সুপার স্টার টম ক্রুজ এতদিন ইনস্টাগ্রাম থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। তবে ২৬ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভক্তদের দিয়েছেন নতুন চমক। ইনস্টাগ্রামে এ্যাকাউন্ট খোলার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ৫ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ফলোয়ার পেয়ে গেছেন টম ক্রুজ। আজ পর্যন্ত তা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজারে। নিজের পরিচয় হিসেবে তিনি দিয়েছেন ‘অভিনেতা, প্রযোজক। ১৯৮১ থেকে মুভি করছি।’ টম ক্রুজ তিনবার একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেছিলেন এবং তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জয় করেছেন। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯ বছর বয়সে এন্ডলেস লাভ (১৯৮১) চলচ্চিত্র দিয়ে। ট্যাপ (১৯৮১) ও দ্য আউটসাইডার্স (১৯৮৩) চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের পরে ক্রুজ তার প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান রোমান্টিক কমেডি চলচ্চিত্র রিস্কি বিজনেস-এ। ক্রুজ পুরোপুরি তারকা হয়ে ওঠেন এ্যাকশন-নাট্যধর্মী টপ গান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর। এরপর তিনি আশির দশকের কয়েকটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র দ্য কালার অফ মানি (১৯৮৬), ককটেল (১৯৮৮), রেইন ম্যান (১৯৮৮) ও বর্ন অন দ্য ফোর্থ অফ জুলাই (১৯৮৯) এ অভিনয় করেন। নব্বইয়ের দশকেও তিনি কয়েকটি হিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯২ সালে ফার এ্যান্ড এ্যাওয়ে ও আ ফিউ গুড ম্যান, ১৯৯৩ সালে দ্য ফার্ম, ১৯৯৪ সালে ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার, ১৯৯৬ সালে কমেডি-নাট্যধর্মী জেরি ম্যাগুইর, এবং ১৯৯৯ সালে আইজ ওয়াইড শাট ও ম্যাগনোলিয়া। এছাড়া ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি মিশন ইম্পসিবল চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের পাঁচটি পর্বে ইথান হান্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ইনস্টাগ্রামে এসে মোটেও সময় নষ্ট করেননি অস্কারজয়ী এই তারকা! ‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজের ষষ্ঠ কিস্তির নতুন দুটি স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন তিনি। এর একটিতে আছে ক্ল্যাপারবোর্ড। এতে জানা গেল ছবিটির নাম ‘মিশন ইম্পসিবল-ফলআউট’। স্থিরচিত্রটির ক্যাপশনে টম ক্রুজ লিখেছেন, ‘তৈরি হোন।’ অন্যটিতে দেখা যাচ্ছে, ৫৫ বছর বয়সী এই তারকা একটি হেলিকপ্টারের বাইরের অংশে ঝুলে আছেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা ষষ্ঠ মিশন ইম্পসিবল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের আরও কিছু জানাতে মুখিয়ে আছি।’ ইনস্টাগ্রামে টম ক্রুজের সংক্ষিপ্ত জীবনীতে বলা হয়েছে, ১৯৮১ সাল থেকে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত একজন অভিনেতা ও প্রযোজক। ১৯৮১ সালে ক্রুজ এন্ডলেস লাভ এবং ট্যাপস চলচ্চিত্রে সহকারী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি একটি সামরিক বিদ্যালয়ের মাথা পাগল ছাত্রের চরিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। ১৯৮৩ সালে লসইন ইট শীর্ষক কমেডি ধাঁচের চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। ওই একই বছরে অল দ্য রাইট মুভস এবং রিস্কি বিজনেস চলচ্চিত্রের মাধ্যমে টম ক্রুজের বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবনে সাফল্যগাথা শুরু হয়। এরপর ১৯৮৬ সালের টপ গান চলচ্চিত্র তাকে পুরোপুরি তারকা খ্যাতির মর্যাদা এনে দেয়। এরপর দ্য কালার অব মানি ওই বছরই মুক্তি পায়। অসাধারণ অভিনয়শৈলীর জন্য তিনি পল নিউম্যানের সঙ্গে যৌথভাবে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে তাকে ককটেল ছবিতে অভিনয়ের জন্য র‌্যাব জি এ্যাওয়ার্ড ফর ওর্স এ্যাক্টর হিসেবে মনোনীত করে। ‘মিশন ইম্পসিবল-ফলআউট’ ছবির কাজ করতে গিয়ে গত বছর গোড়ালিতে চোট পান টম ক্রুজ। এ কারণে শূটিং স্থগিত ছিল অনেকদিন। লন্ডনে এক ভবন থেকে আরেকটিতে লাফ দেয়ার সময় আহত হন তিনি। সিরিজের আগের পর্ব ‘মিশন ইম্পসিবল-রোগ নেশন’একটি উড়োজাহাজের বাইরে ঝুলতে দেখা গেছে টম ক্রুজকে। ওই ছবির মতো এবারও পরিচালনার দায়িত্বে আছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি। আগের পর্বের তারকা রেবেকা ফার্গুসন, সিমন পেগ, ভিং র‌্যামস, শন হ্যারিস, এ্যালেক ব্যাল্ডউইন এবারও থাকছেন। নতুন যুক্ত হয়েছেন হেনরি ক্যাভিল, ভ্যানেসা কার্বি, এ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট ও সিয়ান ব্রুক। ফিরেছেন তৃতীয় পর্বের অভিনেত্রী মিশেল মোনাহান। প্যারামাউন্ট পিকচার্সের পরিবেশনায় এ বছরের ২৭ জুলাই মুক্তি পাবে ‘মিশন ইম্পসিবল-ফলআউট’। এবারই প্রথম এ ফ্রাঞ্চাইজির কোন ছবি দেখা যাবে থ্রিডিতে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন ইম্পসিবল’ ছবিতে আইএমএফ (ইম্পসিবল মিশন ফোর্স) সদস্য ইথান হান্ট চরিত্রে প্রথমবার অভিনয় করেন টম ক্রুজ। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় এ সিরিজের পঞ্চম পর্ব ‘মিশন ইম্পসিবল-রোগ নেশন’। অন্য ছবিগুলো হলো ‘মিশন ইম্পসিবল টু’ (২০০০), ‘মিশন ইম্পসিবল থ্রি’ (২০০৬), ‘মিশন ইম্পসিবল-গোস্ট প্রটোকল’ (২০১১)। আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
×