নিজস্ব সংবাদদাতা, লাকসাম, কুমিল্লা, ৩১ জানুয়ারি ॥ নিখোঁজ হওয়ার ৪০ বছর পর রুহুল আমিন গাজীকে ফিরে পেলেন ছেলে নুরুল ইসলাম ও স্বজনরা। বুধবার ছেলে নাতি ও প্রতিবেশী রুহুল আমিন গাজীকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। প্রতিবেশী ইছহাক আলী জানান, রুহুল আমিন গাজী আজমির শরিফ যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর দীর্ঘ ৪০ বছর নিখোঁজ ছিল। তার আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তারা মনে করেন তার বাবা মারা গেছেন । নিখোঁজ রুহুল আমিন গাজী খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার উত্তর বেতাগামী গ্রামের অধিবাসী। আজমির শরিফ যাওয়ার পথে তিনি সিলেটের হযরত শাহজালাল (র) মাজারে যান। মাজার জিয়ারতের পর একদিন স্বপ্নে দেখেন তিনি আধ্যাত্মিক হয়ে গেছেন। সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে লাকসাম জংশনে ট্রেন থেকে নেমে যান। এরপর লাকসামের বিভিন্ন হাট-বাজার, মসজিদে তিনি রাত যাপন করতেন। মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় তিনি চলতেন। রুহুল আমিন গাজী (৮০) বয়সের ভারে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। সম্প্রতি লাকসাম উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার কথা হয়। কথার এক পর্যায়ে রুহুল আমিন গাজী জানান, তার বাড়ি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার উত্তর বেতাগামী গ্রামে। প্রতিবেশী ইছহাক আরও জানায়, তার স্ত্রী এখনও জীবিত রয়েছে। ছেলে নুরুল ইসলাম জন্মের পরপর তার বাবা নিখোঁজ হন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তার বাবার কোন সন্ধান না পেয়ে তারা মনে করেছিল তার বাবা আর নেই। এরপর মিজানুর রহমান ওই এলাকার জাতীয় পার্টির আজগর হোসেন সাব্বিরের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে বৃদ্ধের ছবি ও নাম ঠিকানা জানান। ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের গ্রামের ইছহাক আলী ও আত্মীয়স্বজনরা তাকে চিনতে পারে। গত সোমবার বৃদ্ধের ছেলে নুরুল ইসলাম, নাতি সোহেল ও প্রতিবেশী ইছহাক আলী মিজানের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাকসামে আসেন। মিজান নোয়াখালী রোডের মসজিদের সামনে বৃদ্ধ রুহুল আমিন গাজীকে দেখতে পান এরপর ছেলে নুরুল ইসলাম তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: