ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চোরাই গরু ফেরত পেতে ইউপি সদস্যের ঘুষ দাবি

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চোরাই গরু ফেরত পেতে ইউপি সদস্যের ঘুষ দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৩১ জানুয়ারি ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ মজনু মৃধা চুরি হওয়া গরু ফেরত দিতে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। এ ঘুষের টাকা না দেয়ায় ইউপি সদস্য গরু ফেরত দেয়নি। গরু ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগী দরিদ্র মাকসুদা বেগম। এ ঘটনার বিচার ও গরু ফেরত পেতে বুধবার সকালে আমতলী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মাকসুদা বেগম। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আমতলী পৌর কাউন্সিলর মোঃ জান্নাতুল ফেরদাউস মিয়া। জানা গেছে, গত বছর অক্টোবর মাসে উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের দরিদ্র মাকসুদা বেগমের একটি গরু চুরি হয়। ওই গরুটি গত ২১ জানুয়ারি হলদিয়া ইউনিয়নের আলমগীর বেপারীর বাড়িতে সন্ধান পায়। ওই গরুটি উদ্ধারের জন্য আমতলী থানার ওসি মোঃ শহিদ উল্যাহকে জানান মাকসুদা বেগম। আমতলী থানার ওসি এস আই রাসেলকে পাঠিয়ে স্থানীয় চৌকিদার সুখদেবে সহযোগিতায় ২৪ জানুয়ারি গরু উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ওই গরুর প্রকৃত মালিক মাকসুদা বেগমের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ওসি শহীদ উল্যাহ তাকে দিয়ে দেয়। এ দিকে মাকসুদা বেগম গরু নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পরে সদর ইউনিয়নের সদস্য মোঃ মজনু মৃধা তার (মাকসুদা) বাড়িতে গিয়ে চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা দোহাই দিয়ে বলেন, ওসি শহীদ উল্যাহ ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। এ টাকা দিতে হবে, না দিলে চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা গরু নিয়ে থানায় যেতে বলেছে। কিন্তু মাকসুদা বেগম ইউপি সদস্যের কথায় কর্ণপাত করেনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৫ জানুুয়ারি সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য মজনু মৃধাসহ ১০/১২ সহযোগী ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিনের দোহাই দিয়ে মাকসুদার বাড়ি থেকে গরু ছিনিয়ে টমটমে তুলে নিয়ে আসে। এ ঘটনা মাকসুদা বেগম তাৎক্ষণিক আমতলী থানার ওসিকে জানান। গত মঙ্গলবার ওসি মোঃ শহিদ উল্যাহ ও ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা মাকসুদার গরুটি ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু ইউপি সদস্য মজনু মৃধাকে ঘুষ না দেয়ায় গরুটি ফেরত দেয়নি।
×