ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তিন সহকর্মীকে পিটিয়েছেন এনসিটিবির কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ড. তৌফিকা

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

তিন সহকর্মীকে পিটিয়েছেন এনসিটিবির কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ড. তৌফিকা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিনজন সহকর্মীকে পিটিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ড. তৌফিকা আক্তার। তিনি শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) নাজমুল হক খানের (যুগ্মসচিব) বোন। তার পিটুনিতে আহত হয়েছেন কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ, গৌতম রায় ও গিয়াস উদ্দিন। আক্রমণকারী ও আহতদের সবাই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সদস্য। বুধবার দুপুরে মতিঝিলের পাঠ্যপুস্তক ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই এনসিটিবির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ড. তৌফিকা আক্তারের শাস্তির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তা প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় বিকেলেই এনসিটিবিতে প্রেষণে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত প্রাণিবিদ্যা বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল আজিজ ফয়সাল এবং কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রেষণে কর্মরত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. তৌফিকা আক্তারকে অসদাচরণের দায়ে ওএসডি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ দু’জন কর্মকর্তাকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নির্দেশে তাদেরকে ওএসডি করা হয়। তারা তাৎক্ষণিকভাবে এনসিটিবি থেকে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ড. তৌফিকা আক্তার মেন্টালি ডিজঅর্ডার (মানসিক ভারসাম্যহীন)। সে আগেও অনেকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। জুতা দিয়ে মেরেছে। আজকে (গতকাল) তার কক্ষের জানালা, আসবাবপত্রও ভাংচুর করেছে।’ মানসিক সমস্যা থাকলে এতদিন কিভাবে এনসিটিবিতে চাকরি করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না। তবে সম্প্রতি তার বাবা মারা যাওয়ায় তিনি মানসিকভাবে আরও ভেঙ্গে পড়েন।’ জানা গেছে, বুধবার দুপুরে নিজ কক্ষে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ড. তৌফিকা আক্তার সহকর্মীদের দিকে পানির গ্লাস ছুড়ে মারেন। চেয়ার ছুড়ে মারেন, কাঠ দিয়ে আঘাত করেন। নিজ কক্ষের জানালাও ভাংচুর করেন। এতে সহকর্মীরা আহত হন। খবর পেয়ে মতিঝিল থানা পুলিশ এসে আহতদের একটি সরকারী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিজ নিজ বাসায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আর ড. তৌফিকাকেও তার খিলগাঁওয়ের বাসায় পাঠানো হয়। মারামারির ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) প্রফেসর ড. মিয়া ইনামুল হক সিদ্দিকীকে।
×