ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় পথনাট্যোৎসব শুরু

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় পথনাট্যোৎসব শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘প্রগতির যাত্রাপথে মশাল জ্বালাও, ভাষা-কৃষ্টির শক্তি নিয়ে বিশ্ব কাঁপাও’ শ্লোগানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হয়েছে ‘জাতীয় পথনাট্যোৎসব ২০১৮’। বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত ৮ দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, ফেডারেশনের সভাপতিম-লীর সদস্য ঝুনা চৌধুরী, নাট্যজন রোকেয়া রফিক বেবী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী। শুরুতে বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করেন অতিথিরা। জাতীয়সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল পর্ব। পরে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। শহীদ বেদির একদিকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী তুলির আঁচড়ে আঁকতে থাকেন চিত্র, অন্যদিকে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হয় নৃত্যনাট্য ‘উড়ন্ত পাখি’। নৃত্যনাট্যটি নির্দেশনা দিয়েছেন সোমা গিরি। এরপর উৎসবের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ফেডারেশনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল চন্দন রেজা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্যে ফেডারেশনের সেক্রেটারী জেনারেল আকতারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ চড়াই-উতরাইয়ের পর বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত এ পথনাট্যোৎসব আজ ৩৩ বছরে উপনীত। আমরা শিল্পের মাধ্যমে আমাদের অধিকারের কথা, প্রগতির কথা বলে আসছি। এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা এবারও বলতে চাই, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে যেন আমরা আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি, এ প্রত্যাশাই সরকারের কাছে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমাদের নিজের সত্যিকারের ভাষা চেনার দিন ঘনিয়ে এসেছে। পথনাটক জনগণের মনে স্বপ্ন দেখায়। শুধু উৎসবের মধ্য দিয়ে এ নাটক পরিবেশনই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। আমরা এ নাটক নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে চাই। বাংলাদেশ নাট্য আন্দোলনের গর্বিত সংগঠন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন বাংলাদেশে সংস্কৃতিচর্চা ও গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনকে বিকশিত করার প্রত্যয়ে গঠিত। সবশেষে ছিল এস এম সোলায়মানের রচনা ও ড. মোহাম্মদ বারী নির্দেশিত থিয়েটার আর্ট ইউনিট’র পরিবেশনায় নাটক ‘জনম দুখী মা’। ঢাকা আর্ট সামিটের চতুর্থ আসর শুরু হচ্ছে কাল ॥ সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে চতুর্থবারের মতো এশিয়ার অন্যতম শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘ঢাকা আর্ট সামিট’। ঢাকার সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় চলবে এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। শিল্পী, শিল্পপ্রেমী এবং সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শিল্প ও স্থাপত্যকে নতুন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং দেশের শিল্পকর্ম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে দুই বছর পর পর অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে অংশ নেবেন ৩৫ দেশের তিনশতাধিক শিল্পী। থাকছে- এশীয় শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর অন্যতম পুরনো প্ল্যাটফর্ম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের উপর একটি বিশেষ প্রদর্শনী। যেখানে প্রখ্যাত বাংলাদেশী শিল্পী সফিউদ্দিন আহমেদ, এম এম সুলতানসহ অন্য শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে। তবে এবারের সব থেকে বড় আগ্রহের জায়গা থাকছে বাংলাদেশের তরুণ ১১ শিল্পীর বিশেষ প্রদর্শনী। আয়োজনে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, ভিডিও আর্ট ছাড়াও থাকছে আন্তর্জাতিক শিল্পীদের অংশগ্রহণে মাল্টিস্টেজ পারফরম্যান্স, যা এবারের ঢাকা আর্ট সামিটের বিশেষ আকর্ষণ। এ প্রদর্শনী আর্কাইভে সহযোগিতায় আছে জাপানের ফুকোওয়াকা মিউজিয়াম এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। বুধবার দুপুরে এবারের আয়োজন সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এবারের এ আয়োজনের এসব তথ্য তুলে ধরেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। এতে অংশ নেন সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি রাজীব সামদানি ও ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাদিয়া সামদানী। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার দ্বিতীয়তলায় প্রদর্শনী উপলক্ষে তৈরি ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় এ মতবিনিময় অনুষ্ঠান। ‘জীবনানন্দ-ভূমেন্দ্র গুহ গবেষণা পুরস্কার’ পেলেন সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ ॥ বেঙ্গল পাবলিকেশন্স ২০১৬ সালে ভূমেন্দ্র গুহের সম্পাদনায় জীবনানন্দ সমগ্র প্রকাশ করে। ঐ বছরের ২৪ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর বেঙ্গল পাবলিকেশন্স প্রবর্তন করে ‘জীবনানন্দ-ভূমেন্দ্র গুহ গবেষণা পুরস্কার’। ২০১৭ সালে প্রকাশিত অন্যতম শ্রেষ্ঠ গবেষণা গ্রন্থের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। কথা প্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘নতুন চর্যাপদ’ বইয়ের জন্য তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন। এ পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। বুধবার বিকেলে রাজধানীর লালমাটিয়া বেঙ্গল বইয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ মার্টিন কেম্পশেন। এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের এবং কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত। শুরুতেই পুরস্কার প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী এবং মার্টিন কেম্পশেনকে পরিচয় করিয়ে দেন আবুল হাসনাত।
×