হাসান নাসির/এইচএম এরশাদ ॥ বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রথমে রাখা হবে রাখাইনে গড়ে তোলা আশ্রয় কেন্দ্রে। এরপর সেখান থেকে যাচাই বাছাই করে ফেরত নিয়ে যাওয়া হবে বসতভিটাতে। প্রাথমিক আশ্রয়ণ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে ৩৫টি শেড। যাদের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে তাদের ঘরগুলো নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গারা থাকবে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে। তবে শুরুতেই ভিটেবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা না হওয়ায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের মাঝে এক ধরনের সংশয় কাজ করছে। এদিকে অল্প সময়ের মধ্যে নতুন করে ৮ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে বনাঞ্চল ধংস হওয়ায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এর মধ্যেই দখল ও ধংস হয়েছে প্রায় ৫ হাজার একর বনাঞ্চল। এতে ক্ষতি নিরূপিত হয়েছে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকার। এখনও আগমন অব্যাহত থাকায় বিরান বনাঞ্চলের আয়তন বেড়েই চলেছে। রাখাইন প্রদেশ থেকে পাওয়া বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ২০টিরও বেশি শেড নির্মিত হয়ে গেছে। গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ কাজ চলমান আছে। বাকি শেডগুলোও দ্রুততার সঙ্গে নির্মাণের কাজ চলছে। নির্মিত এ শেডগুলো রাখা হচ্ছে প্রত্যাবাসনের পর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবির হিসেবে। নানা অজুহাতে দফায় দফায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম পেছালেও আশ্রয় শিবির নির্মাণের কাজ চলমান থাকার বিষয়টিকে দেখা হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারের ইচ্ছার বার্তা হিসেবে। কিন্তু নিজ ভিটেতে আবাসন গড়ার কাজটি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ফিরতে রাজি হচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কেননা, তারা এপারে যেমন রিফিউজির জীবনযাপন করছে, তেমনিভাবে নিজ ভূমেও একই ধরনের জীবন অতিবাহিত করতে হবে কিনা সেই আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সংস্থা ও গ্রুপের প্রত্যাবাসনবিরোধী তৎপরতা এবং উস্কানি তো আছেই।