ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে পরিণতি ভয়াবহ ॥ খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিএনপি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে পরিণতি ভয়াবহ ॥ খাদ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বিএনপির প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায় নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। রায় ইস্যুতে এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে এর দায় বিএনপিকেই নিতে হবে। বুধবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু একাডেমির উদ্যোগে চলমান রাজনীতি নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতেই হামলা চালিয়েছে বিএনপি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে এর পরিণাম ভয়াবহ হবে এবং এর দায় বিএনপিকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় কী হবে তা আদালত জানে। আওয়ামী লীগ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু বিএনপির নেতাদের কথাবার্তায় প্রমাণ হয়েছে তারা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। এজন্য রায় নিয়ে তারা দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে বিএনপি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা বিলম্বিত করার কৌশল গ্রহণ করেছিল। বিএনপি নেত্রীর এ মামলার কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চললে দুই বছর আগে মামলার বিচার শেষ হতো। তখন তারা রায়ের পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার যথেষ্ট সময় পেত। কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে এ মামলা বর্তমান সরকার দেয়নি। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ মামলা দায়ের করেছিল। এ মামলায় সরকারের কোন হাত নেই, আদালত যে রায় দেবে সেটাই হবে। এ নিয়ে নির্বাচন বানচালের অধিকার যেমন বিএনপির নেই, তেমনি নির্বাচন প্রতিহত করার শক্তিও তাদের নেই। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইসির অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন। বিএনপির নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার কোন সুযোগ নেই। কারণ বর্তমান সংসদে বিএনপির কোন প্রতিনিধিত্ব নেই। বঙ্গবন্ধু একাডেমির উপদেষ্টা এম এ কাদের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।
×