ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফরাসী লীগ কাপ, রিভিউতে লালকার্ড এমবাপের, হলুদ কার্ড নেইমারের

আলোচিত ম্যাচ জিতে ফাইনালে পিএসজি

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আলোচিত ম্যাচ জিতে ফাইনালে পিএসজি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা পঞ্চমবার ফরাসী লীগ কাপের ফাইনালে উঠেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাবহুল সেমিফাইনালে রেনেসকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে উনাই এমেরির দল। রোয়াজন পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পেশাদার ক্যারিয়ারে প্রথম লালকার্ড দেখেছেন পিএসজির ফরাসী তারকা কিলিয়ান এমবাপে। মেজাজ হারিয়ে হলুদ কার্ড দেখেছেন দলের সেরা তারকা নেইমারও। উরুগুইয়ান তারকা এডিনসন কাভানিকে ছাড়া খেলতে নামা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজির পক্ষে গোল করেন টমাস মুনিয়ে, মারকুইনহোস ও জিওভানি লো সেলসো। এই নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো ফরাসী লীগ কাপের ফাইনালে উঠলো পিএসজি। আগের চারবারই শিরোপা জিতেছে প্যারিসের ক্লাবটি। এই প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ তারা হেরেছে ২০১২ সালে। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে রেখে খেলতে থাকে অতিথিরা। কিন্তু গোলের সুযোগ তেমন আসছিল না। এর মাঝে ২৪ মিনিটে একক নৈপুণ্যে পিএসজিকে এগিয়ে দেন ফরাসী ডিফেন্ডার মুনিয়ে। বিরতির পর ৫৩ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ভেরাট্টির দারুণ ক্রস নেইমার বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সামনে বাড়ান ডি মারিয়াকে। আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডারের জোরালো শট রুখে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সামনে বল পেয়ে সহজে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মারকুইনহোস। ৫৮ মিনিটে ডি মারিয়ার পাস ধরে কোনাকুনি শটে পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোল করেন আরেক আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লো সেলসো। বল গোলরক্ষকের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। ৬৪ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় অতিথিরা। এক খেলোয়াড়কে পিছন থেকে মারাত্মক ফাউল করে লালকার্ড দেখেন এই ম্যাচ দিয়েই চোট কাটিয়ে ফেরা ফরাসী ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে। প্রথমে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। এরপর সেই বল নিয়ে ছুটতে শুরু করেন প্রতিপক্ষের রেনেসের ইসমাইলা সার। পেছন থেকে ট্যাকল করে তাকে আটকে দেন এমবাপে। রেফারি প্রথমে হলুদ কার্ড দেখান। কিন্তু সেটা এ্যাসিস্ট্যান্ট রিভিউতে দেখে সেই সিদ্ধান্ত পালটে ফেলেন রেফারি। সরাসরি লালকার্ড দেখানো হয় এমবাপেকে। রিভিউয়ের আগেই বড় ভূমিকা রেখেছে। ৪২ মিনিটে রেনেসের ওয়াহবি খাজ্রি গোল করেছিলেন, কিন্তু রিভিউতে হ্যান্ডবলের জন্য গোলটি বাতিল হয়ে যায়। তখন পিএসজি ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। এমবাপের লালকার্ডের আগেই ব্যবধান ৩-০ হয়ে যায়। যে কারণে আর ভুগতে হয়নি পিএসজিকে। তবে শেষদিকে যেয়ে নেইমারদের ভালই ভুগিয়েছেন রেনেসের ফুটবলররা। ৮৫ মিনিটে ব্যবধান কমান দুদিন আগে দলে যোগ দেয়া সেনেগালের ফরোয়ার্ড ডিয়াফ্রা সাকো। আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে (৯২ মিনিট) বসনিয়ার মিডফিল্ডার পেরিসিচ ব্যবধান আরও কমান। তখন ব্যবধান হয় ৩-২। এ সময় মেজাজ হারিয়ে পরের মিনিটেই হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। তখন মনে হচ্ছিল রেনেস হয়তো ম্যাচে সমতা ফেরাবে। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। স্বস্তির জয় নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করে উনাই এমেরির দল।
×