ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত প্রথম ম্যাচ আজ

এবার শীর্ষ দু’দলের ওয়ানডে লড়াই

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

এবার শীর্ষ দু’দলের ওয়ানডে লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত র‌্যাঙ্কিংয়ের লড়াইটাও দারুণ জমে উঠেছে। ২-১এ সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচ জিতে টেস্টের শীর্ষস্থান ধরে রাখে বিরাট কোহলির দল। নিশ্চিত করে আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি ও পুরস্কারের অর্থ। ডারবানে ছয় ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে আজ। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে শীর্ষ দল প্রোটিয়াদের পয়েন্ট ১২১। মাত্র ২ রেটিং পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভারত (১১৯)। বোঝাই যাচ্ছে এই সিরিজের ফল দুদলের অবস্থানে কতটা প্রভাব ফেলবে। গত বছর অক্টোবরে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে নাস্তানাবুদ করে এক নম্বরে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার ঘরের মাটিতে সেটি ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। প্রতিপক্ষ ভারত যে রঙিন পোশাকে আরও দুর্ধর্ষ। আছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, হারদিক পা-িয়া, জাসপ্রিত বুমরাহর মতো তুখোড় সব পারফর্মার। তার ওপর ইনজুরির জন্য সংক্ষিপ্ত পরিসরে নিজেদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সকে পাচ্ছে না ফ্যাফ ডুপ্লেসিসের দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকদের প্রধান কোচ অতিস গিবসন বলেন, ‘হ্যাঁ র‌্যাঙ্কিংয়ের বিষয়টা মাথায় রাখতে হচ্ছে, তবে আমাদের প্রথম লক্ষ্য ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য একটা সঠিক দল গড়ে তোলা। হাতে একাধিক খেলোয়াড় আছে। সেখান থেকে কম্বিনেশন তৈরি করতে হবে। প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য পুরোপুরি ঘাসে ভরা সবুজ উইকেট হোক আমি সেটাই চাই না। আমি চাই কন্ডিশন যেন ব্যাটসম্যান এবং বোলার উভয়কেই সাহায্য করে, যেমনটা ইংল্যান্ডে হয়ে থাকে। আগামী বছর বিশ্বকাপে আমাদের সেখানেই খেলতে হবে।’ ওয়ান্ডারার্সে তৃতীয় ও শেষ টেস্টের সময় আঙ্গুলে চোট পান ডি ভিলিয়ার্স। খারাপ পিচে অনেক ব্যাটসম্যানই আঘাত পেয়েছেন। প্রথম ম্যাচ ছড়াও খেলতে পারবেন না সেঞ্চুরিয়ন এবং কেপ টাউনের তৃতীয় ওয়ানডেতে। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ সেই ওয়ান্ডারার্সেই। ওই ম্যাচকে ‘পিঙ্ক ওয়ানডে’ আখ্যা দেয়া হয়েছে। ম্যাচটি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। ওই বিশেষ ম্যাচটির ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসাডর আবার ডি ভিলিয়ার্স। সম্ভবত চতুর্থ একদিনের ম্যাচেই মাঠে ফিরবেন আধুনিক ওয়ানডের বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান। এটা ঠিক প্রোটিয়া দলে পারফর্মারের অভাব নেই। আছেন র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে থাকা অধিনায়ক ফ্যাফ ও তুখোড় হাসিম আমলা। ব্যাটিংয়ে জেপি ডুমিনি, কুইন্টন ডি কক, ডেভিড মিলার প্রত্যেকে নিজের দিনে ভয়ঙ্কর। বোলিংয়ে কাগিসো রাবাদা, মরনে মরকেল, ক্রিস মরিসের সঙ্গে লেগস্পিনার ইমরান তাহির। প্রতিপক্ষ শিবিরে কোহলিকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। রঙিন পোশাকে ব্যাট হাতে আছেন অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনি, শিখর ধাওয়ান এবং অবশ্যই সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ওয়ানডেতে তিন তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক ঘরের মটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেছেন। যদিও সফরে সুযোগ পাওয়া দুটি টেস্টে মোটেই সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ‘সব ফরর্মেটেই আমি সমানভাবে সফল হওয়ার চেষ্টা করি। কখনও সেই পরিশ্রমে কাজ হয়, কখনও হয় না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমাকে অনেক রদবদল ঘটাতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আশা করছি ওয়ানডেতে দলকে ব্যাট হাতে সেরাটা দিতে পারব। টেস্ট সিরিজ খেলে আমরা এই কন্ডিশনের সঙ্গে অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছি।’ বলেন রোহিত। ১৯৯১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত দুদল মোট ৭৭টি ওয়ানডে খেলেছে। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৪৫, আর ভারত ২৯টিতে। তিনটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ২০১৩-২০১৪ মৌসুমে সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ওয়ানডের সিরিজ ২-০তে হেরেছিল ভারত। আর গত বছর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (লন্ডনে) শেষ দেখায় ৮ উইকেটে জিতেছিল কোহলির দল।
×