ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিত্য ব্যবহারের ৭০ শতাংশই প্লাস্টিক পণ্য

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নিত্য ব্যবহারের ৭০ শতাংশই প্লাস্টিক পণ্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্লাস্টিক খাত সরকারের অগ্রাধিকার খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। আর কোন খাতে নগদ সহায়তা দেয়া হলে তা লাভবান হয়। এই প্লাস্টিক খাতেও ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানের ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে আরও ভাল করবে প্লাস্টিক শিল্প এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে চার দিনব্যাপী ১৩তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিকমেলা-২০১৮ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুত ও রফতানিকারক এ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এ মেলার আয়োজন করেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের নগদ সহায়তার বড় সাফল্য আমাদের বস্ত্র খাত। প্লাস্টিক খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার এই খাতেও সুনজর রেখেছে। এ সময়, রফতানিমুখী প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারকদের বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা বিষয়টি নিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। পুলিশ বাহিনীর ওপর বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা করে কেউ রক্ষা পাবে না। মন্ত্রী বলেন, ‘আমি এ প্রোগ্রামে বসে অনলাইনে দেখলাম, বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন হামলার যে ঘটনা ঘটেছে এটি নাকি অনুপ্রবেশকারীরা করেছে। তার একথার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয়, হামলার ঘটনা কারা ঘটিয়েছে টিভিতে সবই দেখেছে দেশবাসী। এর আগে তারা ২০১১, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিভিন্ন অরাজকতা করেছে। কোরান শরীফ পুড়িয়েছে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। গোলযোগ ও অরাজকতা করে লাভ নেই। এসব করে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারেনি, ভবিষ্যতেও কেউ পারবে না।’ জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এর আগে আমরা বিএনপিকে ডেকেছি। তারা আসেনি। সংলাপের আর প্রয়োজন নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। যারা আসার আসবে, যারা আসবে না তারা ভুল করবে।’ বিপিজিএমইএ সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারী খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, এই প্লাস্টিক সেক্টর ভাল করছে। আমাদের অর্থনীতির যে পরির্বতন হয়েছে তাতে দেশের চেহারাই পাল্টে গেছে। বিদেশীরা আমাদের দেশে মেশিনারিজ প্রদর্শনী করছে কারণ একটাই আমাদের দেশে বড় মার্কেট আছে। রফতানি মার্কেট ধরে রাখতে এবং তা বাড়ানোর পরামর্শ দেন সালমান এফ রহমান। তিনি আরও বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিতে প্লাস্টিক শিল্প যে পরিবেশ বান্ধব শিল্প তা সবার মধ্যেই জানাতে হবে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বিপিজিএমইএ সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই প্লাস্টিকের ব্যবহার। বর্তমানে কাঠ ও লোহার পরিবর্তেও প্লাস্টিক ব্যবহার করা হচ্ছে। যতদিন যাবে এর ব্যবহার আরও বাড়তে থাকবে। প্লাস্টিক পণ্য শতভাগ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা যায় বলে, এ শিল্প থেকে কোন দূষণ হয় না। তিনি এ খাতকে সবুজ শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়ার দাবি করেন। সেই সঙ্গে, পোল্ট্রিখাদ্য এবং সিমেন্টের জন্য প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ না করার আহ্বানও জানান তিনি। প্লাস্টিক সেক্টর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবছর অভ্যন্তরীণভাবে প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। এই সেক্টর থেকে সরকারী কোষাগারে প্রতিবছর জমা হচ্ছে ৩,৫০০ কোটি টাকা। প্লাস্টিক রফতানিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ১২তম স্থানে অবস্থান করেছে। সরকারী সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে প্লাস্টিক খাত আরও এগিয়ে যাবে।
×