অনলাইন রিপোর্টার ॥ আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা ফেইসবুক বন্ধ করতে বলিনি, অথবা করতেও পারব না। সেই ক্ষমতাও আমাদের নাই।”
ফেইসবুক বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,“এই ফেইসবুকের ব্যাপারে যারা আমাদের সরকারি দায়িত্ব পালন করেন, তাদের সাথে আমরা আলাপ করেছি। এমনকি বিটিআরসি (টেলিযোগাযাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা) চেয়ারম্যানসহ অন্য যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সাথে কথা বলেছি। আমরা আমাদের সমস্যাটা বলেছি, যে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানাভাবে এটা (প্রশ্ন) ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, একে অন্যের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করে, এটার ব্যাপারে আপনারা সাহায্য করতে পারেন।”
ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রশ্ন যাতে না ছড়াতে পারে সে ব্যাপারে কিছু কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে নাহিদ বলেন, “তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন, তারা বলেছেন এটা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে তারা আরো অ্যাফেক্টিভ কতগুলো ব্যবস্থা নেবেন। সেগুলো আমি এখানে বলতে চাই না।
“পরীক্ষার সময় সীমিত সময়ের জন্য বন্ধ রাখবে কি রাখবে না - সেটাও তারা (কর্তৃপক্ষ) অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ ব্যাপারটি আমরা তাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তারা খুবই পজিটিভলি সাহায্য করার জন্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। তারা তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবেন, আমরা সাহায্য পাব।”
গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ছে। পরীক্ষার সকালে বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ ও গ্রুপে প্রশ্নের সঙ্গে উত্তরও মিলছে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা গত ২৩ জানুয়ারি সাংবাদিকদের জানান শিক্ষামন্ত্রী। তবে রোববার সংসদে প্রশ্নোত্তরে ফেইসবুক বন্ধের বিষয়টি বলার কথা অস্বীকার করেন মন্ত্রী।
প্রশ্ন ফাঁস বা গুজব সৃষ্টিকারীদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “দুষ্কৃতিকারীদের ধরিয়ে দেবেন বা প্রতিহত করবেন, যাতে সমাজে শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে। শিক্ষক-অভিভাবকের প্রতি অনুরোধ জানাব, এমন পথে যাবেন না যাতে জীবন-ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে।”
কোচিং সেন্টারগুলো পরীক্ষার সাত দিন আগে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, “পুলিশকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি খোলা থাকে তবে বিষয়টা পুলিশকে আবারো জানাব যাতে ব্যবস্থা নিতে পারে।”
আইন করে কোচিং সেন্টারগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একটি মামলার রায় রয়েছে, ওই সময়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হলে মন্ত্রলায়ের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। আমরা পরীক্ষা নিয়েছি ২০১৪ ও ১৫ সালে, খুবই কঠিন অবস্থায় ধৈর্য্যর সাথে মোকাবেলা করেছি, বন্ধের দিনগুলোতে পরীক্ষা নিয়েছি।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “জনগণের কল্যাণের জন্যই রাজনীতি, এই যে ২০ লাখের বেশি পরীক্ষা দেবে, তাদের পরিবার এবং দেশের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পরীক্ষা ব্যহত হয় এমন কোনো কাজ কেউই করবেন না।”