ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে ভারতের যুবারা

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে ভারতের যুবারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ মানেই অন্যরকম উত্তেজনা। সেটা যে লেভেলেই হোক। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ফেবারিট হয়েও চিরশত্রুদের কাছে হেরে গিয়েছিল বিরাট কোহলির দল। এবার ছোটরা বদলা নিল। অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠে গেল ভারতের যুবারা। জয়টা এলো ২০৩ রানের ব্যবধানে। মঙ্গলবার ক্রাইস্টাচার্চে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ভারত অনুর্ধ-১৯ দল। জবাবে ইসহান পোরেল ও শিভা সিংয়ের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ২৯.৩ ওভারে মাত্র ৬৯ রানেই অলআউট পাকিস্তান। শনিবার মাউন্ট ম্যাঙ্গানিউয়ের ফাইনালে শিরোপার লড়াইয়ে ভারতের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত ভারত অনুর্ধ-১৯ অধিনায়ক পৃথ¦ী শাহ বলেন, ‘দলের সবাই দুর্দান্ত খেলেছে। সত্যিকার অর্থেই আমরা সবদিক থেকে ছিলাম সফল।’ রেকর্ডের দিক থেকে পাকিস্তান যুবাদের এটি তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এবারের টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই অবশ্য তাদের ব্যাটিং মোটেই সুবিধার ছিল না। কোন ম্যাচেই পাকিস্তানীরা ২০০ রানের কোটা পার করতে পারেনি। এছাড়াও উন্মাদনার সেমিতে এমন লজ্জার পরাজয়ে ফিল্ডারদের বাজে ফিল্ডিংও অনেকাংশেই দায়ী। পুরো ম্যাচে তারা সাতটি রানআউটের সুযোগ নষ্ট করেছে। পাকিস্তান যুব অধিনায়ক হাসান খান বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ব্যাটসম্যানরা মোটেই ভাল খেলতে পারেনি। শুরু থেকে কোন কিছুই আমাদের অনুকূলে ছিল না। আমরা বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেছি। মোট কথা আমরা কোন দিক থেকেই সঠিক পথে ছিলাম না।’ ভারতকে দারুণ সূচনা এনে দেন উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান পৃথ¦ী শাহ ও মানজাত কালরা। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮৯ রান। পৃথ¦ী ৪১ ও কালরা করেন ৪৭ রান। তাদের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন শুবম্যান গিল। এক প্রান্ত ধরে খেলে তুলে নেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। অপর প্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারানোয় ২৭২ রানে থামে ভারতের ইনিংস। সর্বোচ্চ ১০২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ওয়ান ডাউনে নামা শুবম্যান। বল হাতে পাকিস্তান যুবাদের হয়ে ৪টি উইকেট নেন মোহাম্মদ মুসা। ৩টি উইকেট পান আরশাদ ইকবাল। জয়ের জন্য ২৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান শুরু থেকেই ছিল ছন্নছাড়া। প্রতিপক্ষ বোলাদের বোলিং তোপে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে আসা-যাওয়ার মাঝে ২৯.৩ ওভারে মাত্র ৬৯ রানে অলআউট হয় দলটি। সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন রোহাইল নাজির। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ করেন সাদ খান। ফাইনালে দুই হেভিওয়েট দলের লড়াইটা যে বেশ জমাট হবে তা সহজেই অনুমেয়। দুটি দলই তিনবার করে বিশ্বকাপের শিরোপা দখল করেছে। ২০১২ সালে ভারত ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারের টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা ভারত আগের পাঁচ ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিয়েছে। এর মধ্যে গ্রুপপর্বে অস্ট্রেলিয়াকে ১০০ রানে পরাজিত করেছিল। অস্ট্রেলিয়াও কম যায়নি, কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১ রানের জয়টা ছিল দুর্দান্ত। ওই ম্যাচে লেগ স্পিনার লয়েড পোপ ৯.৪ ওভারে ৩৫ রানে ৮ উইকেট দখল করে অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়েন।
×