ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

ছয় তরুণ কবি ও লেখক ‘কালি ও কলম’ পুরস্কারে ভূষিত

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

ছয় তরুণ কবি ও লেখক ‘কালি ও কলম’ পুরস্কারে ভূষিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাহিত্যচর্চায় নবীন লেখকদের উৎসাহিত করতে ২০০৮ সাল থেকে শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা কালি ও কলম প্রবর্তন তরে ‘কালি ও কলম তরুণ কবি-লেখক পুরস্কার’। এরপর থেকে তরুণ লেখকদের সাহিত্য সাধনায় অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে এ পুরস্কার। মঙ্গলবার প্রদান করা হলো কাক্সিক্ষত সেই পুরস্কারটি। ২০১৭ সালের কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার পেয়েছেন ছয় তরুণ কবি ও কথাসাহিত্যিক। কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ গবেষণা ও নাটক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্য এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য-এই পাঁচ বিভাগে পুরস্কার দেয়া হয়। সাহিত্যের পাঁচ শাখায় পুরস্কারজয়ী এই লেখকরা হলেন মিজানুর রহমান বেলাল, হোসনে আরা জাহান, তাপস রায়, আলতাফ শাহনেওয়াজ, মামুন সিদ্দিকী ও রাজীব হাসান। বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে এই ছয় তরুণের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র গবেষক মার্টিন কেম্পশেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত। বক্তব্য রাখেন কালি ও কলমের প্রকাশক আবুল খায়ের। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। বিজয়ীদের উদ্দেশে শংসাবচন পাঠ করে শোনান রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, অধ্যাপক মাহবুব সাদিক ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। অনুষ্ঠানে কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কারের ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। হাসানুল হক ইনু বলেন, রাজাকার, তেঁতুল হুজুররা স্বাধীন বাংলাদেশে আজও খলচরিত্র। স্বাধীন বাংলাদেশে কেন তারা এখনও আছে, সে প্রশ্নের উত্তর দেবেন লেখকরা। আজকের বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ঘাটতি রয়ে গেছে। হয়তো আমাদের রাজনীতির উত্তরণ হবে, সমস্যার সমাধান বা উন্নয়ন হবে অনেক। কিন্তু সংস্কৃতির ঘাটতি থেকে গেলে আমরা হোঁচট খাব। লেখকরা সেই সংস্কৃতির ঘাটতি পূরণ করবেন। আমরা আজ সেই সৃষ্টি চাই, পরিচয়ের সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আনিসুজ্জামান বলেন, একটি সত্যের মুখোমুখি হতে চাই, লেখক সাহিত্যিকের কাছে পাঠকের কী প্রত্যাশা? প্রত্যাশা দুটো, পাঠক সাহিত্যের মধ্যে সৌন্দর্য ও সত্য খোঁজ করেন। আর এ দুটোর মেলবন্ধন সাহিত্যিকের প্রধান কাজ। তিনি বিচ্যুত হলে সাহিত্যিকের পদবাচ্য থাকেন না। আমরা আশা করব, আজকের তরুণ লেখকরা সৌন্দর্য ও সত্যের মেলবন্ধন ঘটাবেন। কবিতায় ‘জুমজুয়াড়ি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য মিজানুর রহমান বেলাল ও ‘নিশিন্দা পাতার ঘ্রাণ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য হোসনে আরা জাহান, কথাসাহিত্যে ‘এই বেশ আতঙ্কে আছি’ গ্রন্থের জন্য তাপস রায়, প্রবন্ধ, গবেষণা ও নাটকে ‘নৃত্যকী’ গ্রন্থের জন্য আলতাফ শাহনেওয়াজ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্যে ‘মুক্তিযুদ্ধের অজানা ভাষ্য’ গ্রন্থের জন্য মামুন সিদ্দিকী এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য বিভাগে ‘হরিপদ ও গেলিয়েন’ গ্রন্থের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন রাজীব হাসান। চতুর্থ বাংলা খেয়াল উৎসব শুরু আজ ॥ চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলা খেয়াল উৎসব ২০১৮‘। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার পয়লা ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা পর্যন্ত চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দা থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে এ উৎসব। উৎসবে অংশ নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগসহ দেশের ৩৪টি সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান এবং ১৫০জন শিল্পী। এবারের উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ থাকবে ২০০ নবীন শিল্পীর অংশগ্রহণ। উৎসবের বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার চ্যানেল আই ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
×