ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আরও রোহিঙ্গাকে আসতে দেয়া কেন?

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আরও রোহিঙ্গাকে আসতে দেয়া কেন?

হাসান নাসির/এইচএম এরশাদ ॥ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাড়তি চাপ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ এলাকার শ্রমবাজারে। ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা চাল, ডাল, চিকিৎসা সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বিনামূল্যে পাওয়ায় কাজ করতে পারছে অপেক্ষাকৃত স্বল্প মজুরিতে। এতে করে কমছে স্থানীয়দের কাজ পাওয়ার সুযোগ। তাছাড়া সেখানে যে সকল এনজিও সংস্থা কাজ করছে সেগুলোতেও রয়েছে রোহিঙ্গা কর্মী। এদিকে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলমান থাকার মধ্যেও প্রতিদিনই গ্রুপে গ্রুপে আসছে রোহিঙ্গারা। নানা অজুহাতে ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় বিলম্বিত হওয়ায় এরা বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের মানিয়েও নিচ্ছে। প্রত্যাবাসন শুরু হতে যতই বিলম্ব হবে ততই রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টিও অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে, এমনই আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের। কারণ, সরকার এবং বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে পাওয়া সহযোগিতার পাশাপাশি প্রত্যাবাসনে নিরুৎসাহিত করার তৎপরতাও চলছে সমানতালে। স্থানীয়দের অভিমত, এখন নতুন করে আরও রোহিঙ্গা আসার কোনই যুক্তি নেই। তাছাড়া প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আরও রোহিঙ্গাকে আসতে দেয়ার বিষয়টি মিয়ানমার সরকারের কাছেও ভুল বার্তা হিসেবে প্রতিবাদ হতে পারে। সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার ভোরে শতাধিক রোহিঙ্গা এসেছে বাংলাদেশে। তারা উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে সদ্য আগত বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা জানায়, গত কয়েকদিন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। রাখাইনের পরিস্থিতি ভাল লাগছে না।
×