ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এমপিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণকারী পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি সংসদে

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

এমপিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণকারী পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি সংসদে

সংসদ রিপোর্টার ॥ আগামী নির্বাচন সামনে রেখে কিছু গণমাধ্যম কল্পিত তথ্য দিয়ে সংসদ সদস্যদের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছে। এমন অভিযোগ করে কয়েকজন সংসদ সদস্য ওইসব পত্রিকার প্রতিবেদকদের সংসদে তলব করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পীকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। জবাবে স্পীকারের আসনে থাকা ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, সংসদ সদস্যরা বিশেষ অধিকার ক্ষুণেœর নোটিস দিলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তার নামে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে স্পীকার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রটেকশন দাবি করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন। ডেপুটি স্পীকার এ সময় তাকে বিশেষ অধিকার ক্ষুণেœর নোটিস দিতে পরামর্শ দেন। এ সময় ফ্লোর নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম রিপোর্টারসহ ওই পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে সংসদে তলব করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। ফ্লোর নিয়ে মোতাহার হোসেন অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা লেখা হচ্ছে। আমার নাকি ১০০ কোটি টাকার সম্পদ আছে। তারা যে ছবি দিয়েছে সেই ছবিতেই আছে একতলা বাড়ি অথচ তারা বলছে বিলাসবহুল বাড়ি। তিনি বলেন, আমার এলাকায় আমার বিপক্ষে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এই তিনটা রাজনৈতিক দলের নেতারা রয়েছেন। এরা ছাড়াও আমাদের কিছু লোক সুড়সুড়ি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ইয়েলো জার্নালিজমে (হলুদ সাংবাকিতায়) জড়িত সবাই না, হয়তো দুই এক শতাংশ জড়িত। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, মুক্তিযোদ্ধা হয়েছি। সেখান থেকে ফিরে সেনা কর্মকর্তা হই। এরপর দু’বার উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য হয়েছি। সংসদের হুইপ এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছি। এখন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। এতকিছুর পরেও আমাকে বলে আমি নাকি সিপাই ছিলাম। আমার বাড়ি নাকি ভারতে। এভাবে মিথ্যা কথা বলে আমাকে মান-সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে। ওই পত্রিকাটি কার টাকায় রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে নেমেছে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তিনি স্পীকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ দাবি সমর্থন করে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, কিছু পত্র-পত্রিকায় যে কথাগুলো লিখছে এ ব্যাপারে স্পীকার চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারেন। শুধু মোতাহার হোসেনই নয়, অনেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কাল্পনিক তথ্য দিচ্ছে যার কোন সত্যতা নেই সেসব তথ্য দিয়ে লিখে এলাকায় এবং দেশবাসীর কাছে সংসদ সদস্যদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। সুতরাং বিশেষ অধিকার কমিটিতে তাকে (যিনি লিখিছেন) ডেকে জিজ্ঞেস করতে পারেন ওই রিপোর্টার তথ্যগুলো কোথায় পেয়েছে? রিপোর্টের সত্যতা না পেলে স্পীকার ব্যবস্থা নিতে পারেন। সংসদে ডেকে নিয়ে কার্যক্রর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।
×