ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়েমেন পরিস্থিতির নতুন মোড়

এডেনে অভ্যুত্থান চেষ্টা॥ ট্যাঙ্ক যুদ্ধে হতাহত ২২১

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

এডেনে অভ্যুত্থান চেষ্টা॥ ট্যাঙ্ক যুদ্ধে হতাহত ২২১

ইয়েমেনে অন্তবর্তীকালীন রাজধানী এডেনে সরকারী বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের মধ্যে দু’দিনের তীব্র লড়াইয়ে কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত এবং ১৮৫ ব্যক্তি আহত হয়। খবর এএফপির। সামরিক সূত্রে বলা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় এই বন্দর নগরীতে একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সংঘর্ষের দ্বিতীয় দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলো ট্যাঙ্ক ও কামান নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। সোমবার রাতে যার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। ইয়েমেন সরকার সমর্থক সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সব ধরনের সশস্ত্র তৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানানো হয়। তাদের এই আহ্বান সংবলিত বিবৃতি সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএতে প্রচার করা হয়। এতে আরও সতর্ক করা হয় যে, অস্ত্রবিরতির এই আহ্বান উপেক্ষা করা হলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ইয়েমেনে বর্তমান বিশ্বের অত্যন্ত জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই দেশে আগে থেকেই চলমান গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার লোক নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছে। এমন সময় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সরকারী সদর দফতরগুলো দখল করে নেয়ায় সে দেশের জটিল পরিস্থিতি অধিকতর জটিলতার সম্মুখীন হয়েছে। ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ বিন দাঘের একটি বৈধ সরকার ও দেশের সংহতির বিরুদ্ধে এই অপচেষ্টার নিন্দা প্রকাশ করে এর প্রতিরক্ষায় সৌদি জোটকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান। এদিকে এডেনের নিরাপত্তা ও সামরিক সূত্র থেকে বলা হয়েছে যে, রাতের অন্ধকারে বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী রাজধানীর কোন কোন এলাকায় ঢুকে পড়ে এবং তারা এডেনের প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছাকাছি পৌঁছতে সক্ষম হয়। তারা আরও জানায়, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এডেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি দুটি সামরিক ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে। যার দরুন বিমানবন্দরটি দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে। তিন বছর আগে ইয়েমেনের মূল রাজধানী সানা হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর সে দেশের সৌদি সমর্থনপুষ্ট- প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদি এডেনে তার সদর দফতর স্থাপন করেছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ১৯৯০ সালের আগে বিদ্যমান দক্ষিণ ইয়েমেনের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছে। এতদিন যাবত তারা শিয়া বিদ্রোহী হুতি গ্রুপের বিরুদ্ধে মনসুর হাদিকে সমর্থন দিয়ে আসছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েক মাসে তাদের মধ্যে নানা ধরনের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। যার দরুন তারা সশস্ত্র লড়াইয়ের পথ বেছে নিল।
×