ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ নিয়ে আপিল শুনানি ৬ মার্চ

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ নিয়ে আপিল শুনানি ৬ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানি আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার রিটকারীর আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটকারী মো. বদিউজ্জামানের পক্ষে ৩ সপ্তাহের মৌখিক সময় আবেদন করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে লিখিত আবেদন দাখিল করতে বলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা। এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৩ মার্চ লিভ টু আপিল গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ১২ ও ১৩ এপ্রিল বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন বাতিল করে রায় দেন। রায়ে শান্তিচুক্তির পর প্রণীত পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইন অসাংবিধানিক বলে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে রায়ে পার্বত্য শান্তিচুক্তিকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন, ১৯৯৮-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০০ সালে রাঙামাটির বাঙালি অধিবাসী মো. বদিউজ্জামান হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। পরে ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম শান্তিচুক্তির বৈধতা নিয়ে অপর একটি রিট আবেদন করেন। বদিউজ্জামানের রিট আবেদনের পর হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে রুল জারি করেন সরকারের প্রতি। অন্যদিকে তাজুল ইসলামের রিট আবেদনে পার্বত্য শান্তিচুক্তি কেন বাতিল করা হবে না তা জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করা হয়। এই রিটের শুনানিতে আদালতের বন্ধু আইনজীবী হিসেবে টি এইচ খান ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্য গ্রহণ করেন আদালত। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও তাজুল ইসলাম।
×