ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মেলানিয়া

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মেলানিয়া

অনলাইন ডেস্ক ॥ মুখ খুলেছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। এই প্রেমের জেরে ট্রাম্পের ঘর ছেড়েছেন মেলানিয়া—এমন গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়ে। গণমাধ্যমে খবর বের হয়, গৃহদাহ শুরু হয়ে গেছে ট্রাম্পের সংসারে। ঘর ভাঙার উপক্রম। খবর রটে, মেলানিয়া স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন। পর্নো তারকার সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠার অভিযোগের পরই নাকি মেলানিয়া দূরে দূরে থাকছেন। এই সবকিছুর ব্যাপারের নিজের অবস্থান জানাতে মুখ খুললেন মেলানিয়া। দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্পের মধ্যকার সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে বলে যারা খবর প্রচার করেছে, সেসব সংবাদমাধ্যমের দিকে কঠোর বার্তা ছুড়ে দিয়েছেন মেলানিয়া। মেলানিয়ার মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেন, পর্নো তারকার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ‘লাম্পট্যপূর্ণ ও সোজাসুজি ভাষায় মিথ্যা খবর’। এসব মুখোরোচক খবর ছড়ানোর জন্য গণমাধ্যমের সমালোচনা করেন তিনি। স্টেফানি আরও বলেন, ‘তিনি (মেলানিয়া) তাঁর পরিবার ও ফার্স্ট লেডি হিসেবে ভূমিকা পালনে সচেতন রয়েছেন। বিভিন্ন ভুয়া খবরে যেসব গল্প ছড়ানো হচ্ছে, তার কিছুই সত্য নয়।’ যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডির কার্যালয় থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) ট্রাম্পের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন মেলানিয়া ট্রাম্প। সে অনুযায়ী ২৫ জানুয়ারি তাঁর দাভোসে পৌঁছানোর কথা। ট্রাম্প-দম্পতির ১৩তম বিবাহবার্ষিকীর দিনে সফরে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন মেলানিয়া। এ নিয়েও গুজব ওঠে বিভিন্ন মহলে। শেষ মুহূর্তে ফার্স্ট লেডির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘সময়সূচি আর যৌক্তিক কারণে’ ওয়াশিংটন ডিসিতেই থাকতে হচ্ছে মেলানিয়াকে। বর্তমানে ট্রাম্প বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে দাভোসে রয়েছেন। স্টেফানির মাইস্পেস অ্যাকাউন্টের একটি ছবিতে স্টেফানি ও ট্রাম্প। ছবিটি ২০০৬ সালের কোনো এক সময় তোলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছবি সংগৃহীতবিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ট্রাম্পের সঙ্গে যোগ না দিয়ে মেলানিয়া ফ্লোরিডায় অবকাশ যাপনে যান। তিনি এ জন্য অবশ্য ব্যস্ততাকে অজুহাত হিসেবে দেখান। অবকাশ যাপনের ২৮ ঘণ্টা পর হোয়াইট হাউসে ফেরেন মেলানিয়া। মেলানিয়া এসব খবরে বিরক্তও ছিলেন। গণমাধ্যমে খবর বের হয়, ২০০৬ সালে স্টর্মি ডেনিয়েলস নামে অভিনয় করা স্টেফানি ক্লিফোর্ড নামের এক পর্নো তারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ওই পর্নো তারকা যাতে বিষয়টি নিয়ে মুখ না খোলেন, সেই লক্ষ্যে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাস খানেক আগে এক আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০০৬ সালে ক্লিফোর্ডের সঙ্গে ট্রাম্পের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। এর এক বছর পরই ট্রাম্প মেলানিয়াকে বিয়ে করেন। স্টর্মি ডেনিয়েলস নামে অভিনয় করা স্টেফানি ক্লিফোর্ড নামের ওই পর্নো তারকার দাবি, ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন ও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। মার্কিন ওই পর্নো তারকা দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মুখ বন্ধ করার জন্য তাঁকে মোটা অঙ্কের অর্থ দেন ট্রাম্প। এ অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। ক্লিফোর্ড আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি নামি গলফ টুর্নামেন্টে তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের পরিচয় হয়েছিল। ২০০৬ সালে তাঁর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শারীরিক সম্পর্ক হয়। সেখানেই ওই কাণ্ড করেন ট্রাম্প। ওই খবরকে শুধু রটনা বলে উড়িয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই ধরনের বহু খবর নির্বাচনের আগে প্রকাশিত হয়েছিল। সেসব গল্পেরই একটি আবার ছাপা হয়েছে। এদিকে নারীকেন্দ্রিক নতুন আরও একটি কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক মাইকেল উলফের ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি বইয়ে উঠে এসেছে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালির সঙ্গে ট্রাম্পের প্রেমের প্রসঙ্গ। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ারফোর্স ওয়ান ও ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে নিকি হ্যালি ব্যক্তিগত সময় কাটিয়েছেন বলেও তথ্য লেখকের। নিকি হ্যালি আগে সাউথ ক্যারোলাইনার গভর্নর ছিলেন। নিজের আস্থাভাজন এই নারীকে প্রশাসনের অন্যতম শীর্ষ পদে বসান ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন নিকি হ্যালি।
×