ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সময়ের নাট্যকার নির্দেশক দেবাশীষ ঘোষ

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

সময়ের নাট্যকার নির্দেশক দেবাশীষ ঘোষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের অন্যতম মেধাবী নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা দেবাশীষ ঘোষ। এ পর্যন্ত প্রায় ত্রিশটি নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন। রচনা করেছেন মৌলিক নাটক। জনপ্রিয় লেখকের বেশ কয়েকটি গল্পের নাট্যরূপ দিয়েছেন। মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। সংস্কৃতিচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার। বই মেলায় আসছে তার নাট্যরূপ দেয়া তিনটি নাটকের একটি বই। পরিপূর্ণ একজন থিয়েটার প্রাণ মানুষ দেবাশীষ ঘোষের জন্ম সিলেট জেলা শহরে। ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনে বিচরণ করেছেন। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর সন্ধানী নাট্য চক্রের সঙ্গে জড়িত হন। তখন থেকেই নাটকের হাতেখড়ি নেয়া শুরু। পরবর্তীতে ঢাকায় এসে পড়াশোনার পাশাপাশি ঢাকা পদাতিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মঞ্চে নিয়মিত নাট্যচর্চা শুরু করেন। সে সময় তিনি শ্রদ্ধেয় নাট্যজন সৈয়দ জামিল আহমেদ, প্রয়াত এস এম সোলায়মানের সান্নিধ্যে প্রকৃত নাট্যচর্চায় দীক্ষিত হন। তারপর ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলায় স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর পাস করেন। সে সময় তিনি ভারতের প্রখ্যাত নাট্য নির্দেশক-বিভাস চক্রবর্তী, অশোক মুখোপাধ্যায় ও মনোজ মিত্রের সান্নিধ্যে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন। পড়ালেখা শেষে দেশে ফিরে সম্পূর্ণভাবে থিয়েটারে নাট্য পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। দেবাশীষ ঘোষ নির্দেশিত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো ‘কথা’ ’৭১’, ‘গাধা বাজার’, ‘শিবাণী সুন্দরী’, ‘নুরুন্নেহার পালা’, ‘সব সম্ভবের দেশে’, ‘নারী নসীমন’, ‘ক্ষোভ’, ‘এবং অশ্বমেধ যজ্ঞ’, ‘অন্য গাজীর অন্য কিস্সা’, ‘অমাবস্যার কারা’, ‘বাগানিয়া’, ‘রাজার চিঠি’, ‘অতঃপর হাট্টিমাটিমটিম’, ‘নবাব ফয়জুন্নেসা’, ‘পিয়র চান’, ‘পুনরুত্থান’, ‘এখনও দুঃসময়’, ‘সে’, ‘সোমপুর কথন’, ‘বীরাঙ্গনার বয়ান’, ‘বাঘ’, ‘আত্মকথা’, ‘অস্তিত্ব’ প্রভৃতি। রচিত মৌলিক নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পুনরুত্থান’, ‘এখনও দুঃসময়’, ‘প্রহরী’, ‘আমাদের মালালা’, ‘অতঃপর হাট্টিমাটিমটিম’, ‘একটি মিউজিয়ামের গল্প’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সে’ গল্পের নাট্যরূপ দিয়েছেন তিনি। প্রায় পনেরোটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন দেবাশীষ ঘোষ। এছাড়া তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘জীবনঢুলী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে নাট্যধারা প্রবর্তিত ‘তনুশ্রী পদক’, ২০০৬ সালে বাচসাস পুরস্কার, ২০০১ সালে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী মাগুরা জেলা সংসদ প্রবর্তিত ‘হরিশ দত্ত নাট্য পদক’ লাভ করেন। এদিকে এবারের বই মেলায় দেবাশীষ ঘোষের ‘ক্ষোভ’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ হতে যাাচ্ছে। গ্রন্থটি প্রকাশ করছে আগামী প্রকাশনী। গ্রন্থে সৈয়দ শামসুল হকের তিনটি গল্পকে তিনি নাট্যরূপ দিয়েছেন। এগুলো হলো ‘জলেশ্বরীর দুই সলিম’, ‘সাহেব চান্দের ঈদ ভোজন’ এবং ‘কবি’।
×