ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শীঘ্রই পানিশূন্য হচ্ছে কেপটাউন?

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

শীঘ্রই পানিশূন্য হচ্ছে কেপটাউন?

টেবিল মাউন্টেন বা টেবিলের মতো পর্বত বলে পরিচিত আফ্রিকান পেঙ্গুইন, সাগর ও রোদের উজ্জ্বলতার শহর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শীঘ্রই পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। সম্ভবত কেপটাউনই বিশ্বের প্রথম পানিহীন শহরে পরিণত হচ্ছে। চলতি বছরের মার্চের শুরুতেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে কেপটাউনের অধিবাসীরা কিংবা ভ্রমণরত পর্যটকরা। এ সঙ্কট বা সমস্যার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে গত তিন বছরে ইতিহাসের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে সেখানে। অন্যদিকে দিনে দিনে শহরটিতে জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। শহরের প্রায় চল্লিশ লাখ অধিবাসীকে সংরক্ষণ করা পানি ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে তাও আবার দিনে কোনভাবে ৮৭ লিটারের বেশি নয়। খাবার, গোসল, টয়লেট কিংবা আনুষঙ্গিক সব দরকারের জন্যই এটুকু বরাদ্দ। গাড়ি ধোয়া বা সুইমিং পুলে পানি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ভয়াবহ পানি সঙ্কটের মধ্যে জীবন কেমন চলছে-তার একটি বিবরণ দিয়েছেন বিবিসির সাংবাদিক আলী। তিনি কেপটাউনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। আলী বলেন, ‘আমার স্ত্রী এখন আর গোসল করেন না। তিনি দেড় লিটারের মতো পানি ফুটিয়ে তার সঙ্গে এক লিটারের মতো টেপ ওয়াটার মিশিয়ে তার ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহার করেন। এছাড়া একবার ব্যবহৃত পানি আমরা সাধারণত সংরক্ষণ করি টয়লেটে ব্যবহারের জন্য।’ তিনি জানান, কেপটাউনের অন্য অধিবাসীদের মতোই তার পরিবারের চার সদস্যও সংরক্ষণ করা পানি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। সন্তানরা গোসল সারে মাত্র দু মিনিটের মধ্যে। তীব্র খরার সময় পানি ব্যবহারের সীমা ৫০ লিটারে নামিয়ে আনে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের সব প্রচেষ্টা আসলে ডে-জিরোকে বিলম্বিত করা। পানি সঙ্কট নিয়ে ক্ষোভও বাড়ছে কেপটাউনের অধিবাসীদের মধ্যে। ডে-জিরোর নির্ধারণ হয়ে আছে ১২ এপ্রিল, যেদিন কেপটাউনের পানি সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। কিন্তু ৫০ লিটার পানি ব্যবহার মাত্র- এটি সত্যিই কঠিন সেখানকার মানুষের জন্য, কারণ সাধারণত একবার গোসলের সময় প্রতি মিনিটে দরকার হয় ১৫ লিটার পানি। কিংবা টয়লেটে ফ্ল্যাশে প্রতিবার দরকার হয় ১৫ লিটারের মতো পানি।-বিবিসি
×