ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যে কোন সময় প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারে

রোহিঙ্গাদের গ্রহণে মিয়ানমারের নরম সুর

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

রোহিঙ্গাদের গ্রহণে মিয়ানমারের নরম সুর

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু সেদেশের সেনাবাহিনী পুলিশ ও উগ্র সন্ত্রাসী মগদের বর্বরোচিত আচরণের ঘটনায় মিয়ানমার সরকার বিশ্বব্যাপী ব্যাপক নিন্দা কুড়িয়েছে। শক্তিশালীসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা নিয়ে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছে। রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের পাশে থাকবে বলে হাতে গোনা যে ক’টি দেশ বক্তব্য দিয়েছে তারাও প্রকারান্তরে রোহিঙ্গাদের ওপর ঘটে যাওয়া বর্বরতম ঘটনায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করতে পিছপা হয়নি। ফলে সারাবিশ্বে মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গাবিরোধী নৃশংস অভিযান মানবতাবিরোধী কর্মকা- হিসেবেই স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে মিয়ানমার তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে এখন রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য রীতিমতো তাদের ব্যাপক আগ্রহের তৎপরতার খবর প্রকাশ করছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের যেসব সংগঠন তৎপর হয়েছিল তারাও এখন থমকে গেছে। খোদ জাতিসংঘের পক্ষে রোহিঙ্গাদের প্রতি সদয় হয়ে মিয়ানমার সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে। শুধু তাই নয়, মিয়ানমারের ওপর অবরোধ আরোপের কথাও বলেছে বিশ্বের বহু দেশ। ইতোমধ্যে আউং সান সুচিসহ সেদেশের সেনাপ্রধান প্রকারান্তরে সে দেশের সরকার যে নিন্দা ও সমালোচনার মুখে রয়েছে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে মিয়ানমার এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে সেদেশের প্রশাসন ও আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পক্ষে পৃথক পৃথক দাবি দাওয়া প্রত্যাবাসনে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। এরপরও মিয়ানমার সরকারের সার্বিক তৎপরতায় প্রতীয়মান যে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের সুর এখন আগের চাইতে বহুলাংশে নরম। ওপারের সূত্রগুলো জানিয়েছে, এমনিতর পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকার এখন ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে তাদের মনমানসিকতার লাগাম টেনে ধরেছে। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারের নানামুখী আগ্রহ ও কর্মকা- বিস্তৃতি লাভ করছে। রোহিঙ্গারা ফিরে গিয়ে যাতে সেখানে অবস্থান নিতে পারে সে লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। তবে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে সময় নেয়। কারণ, মিয়ানমার আগেও শর্ত দিয়েছে তারা যাচাই-বাছাই করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে। অপরদিকে, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রধান রয়েছে নাগরিকত্বের বিষয়টি। ৯২ সালে কেড়ে নেয়া নাগরিকত্ব ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ফিরে না পাওয়ার প্রশ্নে দিন দিন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও উভয় দেশের সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে প্রত্যাবাসন পূর্ব সকল কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় তা শুরু করা যায়নি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত বিষয়টি অন্যত্র। এখানে সবচেয়ে প্রধান যে দাবিটি প্রাধান্য পাচ্ছে তা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান ও তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু প্রত্যাবাসন ইস্যুতে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সঙ্গত কারণে এ ইস্যুতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কোন দিকে গড়াচ্ছে সেটি এখন আগ্রহী সকল মহলের দেখার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে আলোচিত হচ্ছে যে কোন সময় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য মিয়ানমার তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এ লক্ষ্যে উভয় দেশের ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা তৎপর হয়ে কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার সরকার পক্ষেও সেদেশের গণমাধ্যমে প্রদত্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে তারা প্রস্তুত রয়েছে। তবে এখনও সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্র বা ট্রানজিট ক্যাম্প স্থাপন এবং প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে কিছু কিছু কাজ অসম্পন্ন থাকায় সুনির্দিষ্টভাবে দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষেও জানানো হয়েছে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক হলে তাদেরকে তাদের নিজ দেশে অবশ্যই ফেরত যেতে হবে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন রোহিঙ্গাদের ওপর যখন নৃশংসতা চলছিল এবং দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছিল তখন সেদেশের স্টেট কাউন্সিলর আউং সান সুচি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে প্রথম কথা বলেন গেল বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিল রোহিঙ্গা উগ্রপন্থীদের হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রাণ হারানোর ঘটনায় তারা এ অভিযান চালিয়েছে। গেল বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আউং সান সুচি প্রথম বক্তব্য রাখেন। তখন তিনি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে মুখ খুলেন। ওই সময় তিনি ঘোষণা দেন যে, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষ অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সীমান্তের ওপারের সূত্রগুলো সোমবার জানিয়েছে মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে আপাতত রোহিঙ্গাবিরোধী কোন তৎপরতা লক্ষ্যণীয় নয়। তারপরও রোহিঙ্গারা প্রতিদিন বিক্ষিপ্তভাবে বাংলাদেশে কেন চলে আসছে এমন প্রশ্নের জবাবে সূত্র জানিয়েছে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় এবং ত্রাণ সরবরাহের অবাধ সুবিধা যেভাবে প্রসারিত করে রাখা হয়েছে তাতে অনেকে লোভের বশবর্তী হয়েও এখন চলে আসছে। এছাড়া আগে চলে এসেছে অনেকের আত্মীয়স্বজন। সুতরাং ওইসব আত্মীয়স্বজনের আহ্বানেও এখনও সাড়া দিচ্ছে বলে ধারণা দিয়েছে সূত্রগুলো। এদিকে, মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল তান শ্রি রাজা মোহাম্মদ এফানদি বিন রাজা মোহাম্মদ নূর রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে বলেছেন, রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মালয়েশিয়া সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বিগ্ন। অসহায় রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা দিতে মালয়েশিয়া থেকে মেডিক্যাল টিম বাংলাদেশে এসেছে। মেডিক্যাল টিমের অধিকাংশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তিনি বলেন, ‘আমি গর্বিত মালয়েশিয়ার মেডিক্যাল টিম মানবিক কারণে বাংলাদেশে এসেছে’। গত শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের উখিয়ায় মালয়েশিয়ান ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন সেদেশের সেনা প্রধান। এ সময় তিনি কিছু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটার রোহিঙ্গা মাঝি আয়াছুর রহমান। মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান তাকে প্রশ্ন করেন মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিলে যাবে কিনা ? এ প্রশ্নের জবাবে ওই মাঝি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নাগরিকত্বসহ ছয় দফা দাবি মেনে নেয়া হলে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যাবে। ক্যাম্প অভ্যন্তরে অপতৎপরতার অভিযোগ ॥ উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অপতৎপরতা চলছে। রোহিঙ্গারা যাতে প্রত্যাবাসনে রাজি না হয় তা নিয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকার পক্ষে যে ২০টি এনজিও বন্ধ ঘোষণা করেছে তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। এ বিষয়ে সরকারের গোয়েন্দা রিপোর্টও প্রদান করা হয়েছে। এনজিও কার্যক্রম সীমিত করা এবং ক্যাম্পের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬টি প্রস্তাবও করা হয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আশ্রিত রোহিঙ্গারা কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৩ হাজার একর খাস জমিতে ২০ ব্লকে ভাগ হয়ে বসবাস করছে। এ ২০ ব্লকের জন্য অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের কথা বলা হলেও এখন তা বাস্তবায়ন হয়নি। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্টও নেই। তাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অভ্যন্তরে কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটলে দ্রুত সেখানে পৌঁছানোও সম্ভব হয় না। এছাড়া এক শ্রেণীর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নাশকতামূলক তৎপরতা সৃষ্টির জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে প্রচার রয়েছে। অপরদিকে কোন রোহিঙ্গা যাতে ক্যাম্প ছেড়ে পালাতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিত যে কথা বলা হয়েছে বাস্তবে তা এখনও হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পের চারদিকে সীমানা প্রাচীর বা কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, প্রবেশ ও বহির্নিগম পথ নির্ধারণ এবং দুই পথে চেক পোস্ট বসানো, ক্যাম্পের চারদিকে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের কথা বলা হলেও তা এখনও অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে। প্রত্যাবাসনবিরোধী রোহিঙ্গারা ॥ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে বানচাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এক শ্রেণীর সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা। তারা প্রত্যাবাসন ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের উপর কারণে-অকারণে দমন-নিপীড়ন, খুন, জখম, অপহরণ ইত্যাদি কর্মকা- চালিয়ে ভীতি সঞ্চার ঘটিয়ে চলছে। এ নিয়ে সাধারণ রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনবিরোধী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ বিষয়কে ঘিরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নানা কানাঘুষা চলছে। ইতোপূর্বে কিছু কিছু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি থাকার বিষয়টি জানান দিলেও বর্তমানে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোন রোহিঙ্গা আর কথা বলছে না। কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা ডাক্তার জাফর আলম জানিয়েছেন, পত্র-পত্রিকায় তার নামে বিবৃতি আসায় এখন তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে। এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৫টি পুলিশ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শেষ না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করতে ৫টি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনে ইতোমধ্যে বালুখালী ও লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২টি পুলিশ ক্যাম্প আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ৫টি পুলিশ ক্যাম্পের ২৫০ লোকবল যথেষ্ট নয়। তথাপিও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দমনে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে এলাকাবাসী খুশি। এরপরও এলাকার মানুষ শান্তিতে নেই। কারণ ক্যাম্পে কর্মরত কতিপয় এনজিও মানবিক সেবার নামে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রত্যাবাসনবিরোধী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে লালন করায় তারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গত ১০ দিনে পালংখালী ইউনিয়নে যে সমস্ত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। গ্রামবাসীরা উদ্বিগ্ন অবস্থায় রয়ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, উখিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী সোমবার জানিয়েছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনকে সামনে রেখে কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের উস্কানি দিচ্ছে। এসব এনজিও সরকারবিরোধী বিভিন্ন কর্মকা-ে লিপ্ত রয়েছে। নিজেদের স্বার্থে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন রোধে বিভিন্ন দাবি দাওয়া দিয়ে উস্কে দিচ্ছে রোহিঙ্গাদের। যে কারণে গত ১০দিনের মাথায় ৪টি খুনসহ চুরি, ডাকাতি, প্রত্যাবাসনবিরোধী বিক্ষোভের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছে। এসব এনজিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিতে আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) উখিয়ায় অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হবে বলে তিনি জানান।
×