ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সময়ের সঙ্গে বাড়ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

সময়ের সঙ্গে বাড়ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দিন দিন বাড়ছে প্লাস্টিক দ্রব্যের ব্যবহার। গৃহস্থালি থেকে শুরু করে ভবন নির্মাণ, কলকারখানা, শিল্প, কৃষি, ব্যবসা ও প্যাকেজিং সেক্টরে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বর্তমানে দেশের একজন মানুষ বছরে ৫ থেকে ৭ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহার করে। ২০৩০ সাল নাগাদের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়াবে ৩০ থেকে ৩৫ কেজিতে। দেশের প্লাস্টিক পণ্যের প্রসার ও রফতানি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে ১৬টি দেশের অংশগ্রহণে আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ১৩তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিকমেলা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী এ প্লাস্টিকমেলা চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক এ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এই মেলার আয়োজক। সোমবার রাজধানীর পল্টনে বিপিজিএমইএ কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। জসিম উদ্দিন বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই প্লাস্টিকের ব্যবহার। বর্তমানে কাঠ ও লোহার পরিবর্তেও প্লাস্টিক ব্যবহার করা হচ্ছে। যত দিন যাবে এর ব্যবহার আরও বাড়তে থাকবে। প্লাস্টিক সেক্টর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবছর অভ্যন্তরীণভাবে প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। এই সেক্টর থেকে সরকারী কোষাগারে প্রতিবছর জমা হচ্ছে ৩,৫০০ কোটি টাকা। প্লাস্টিক রফতানিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ১২তম স্থানে অবস্থান করেছে। বিপিজিএমইএ সভাপতি জানান, বুধবার দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারী খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ১৩তম প্লাস্টিক মেলায় ১৫টি ক্যাটাগরিতে ৪৮০টি স্টল থাকবে। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভারত, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব-আমিরাতসহ ১৬টি দেশ থেকে আসা উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করবেন। মেলায় মূল উদ্দেশ্য দেশের উৎপাদিত নতুন নতুন প্লাস্টিক পণ্য ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরা। একই সঙ্গে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিক প্রযুক্তির মেশিন প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা। সাংবাদিক সম্মেলনের জানানো হয়, প্রায় সব ধরনের বিশ^মানের আধুনিক পণ্যসামগ্রী এখন বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে। জগ, মগ, থেকে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের প্যাকেট, ইনজেকশন সিরিঞ্জ, রক্ত সংগ্রহের ব্যাগ, ক্রোকারিজ, ঘরের দরজা, জানালা, স্যানিটারি, ইলেক্ট্রনিক্স দ্রবাদি, কম্পিউটার, টেলিফোন সেট বিভিন্ন ধরনের খেলনায় প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন চীন, ভারত নেপালসহ অন্যান্য বাজারে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মেলার কো-অর্গানাইজার ইউরেকা ট্রেড এ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানির প্রেসিডেন্ট মিস জুডি ওয়াং, বিপিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন, মোঃ ইউসুফ আশরাফ, ফেরদৌস ওয়াহেদ ও সামিম আহমেদ বিপিজিএমএ’র সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন, সৈয়দ তাহসিন হকসহ প্রমুখ।
×