ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি

প্রকাশিত: ০১:০৮, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি

রাবি সংবাদদাতা ॥ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারীদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাত ৮টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন এবং সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়েছে। দুইপক্ষের অনুসারীদের মধ্যে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিতরাজ করছে। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সুসম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি তাদের অনুসারী নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা ইস্যুতে মতপার্থক্য দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এই দ্বন্দ্বের জের ধরে সভাপতির অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী শাহাদাৎ এবং নিতাইয়ের সঙ্গে রাবি শাখা ছাত্রলীগের মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী ফেরদৌস মাহমুদ শ্রাবণের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শ্রাবণ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুস্ময় এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান মিশুকে ডেকে এনে শাহাদাৎ ও নিতাইকে মারধর করে। জানতে পেরে সভাপতির অনুসারীরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এনিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে সোমবার দুপুরে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী সাকিবকে মারধর করা হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে জড়ো হয়। পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক টানা তিন ঘণ্টা আলোচনার পর বিষয়টি মীমাংসা করে নেন। এ সময় হলের বাইরে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান নেয়। রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমাদের ছোট ভাইদের মধ্যে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে। রাবি প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই তিনি ওই হলে গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জানিয়েছে নিজেদের মধ্যে এই ধরনের মারধরের ঘটনা আর ঘটবে না।
×