ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গরুর মাংস আমদানিতে ভ্যাট বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৬:১১, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

গরুর মাংস আমদানিতে ভ্যাট বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারতসহ বিদেশ থেকে আমদানি করা হিমায়িত মাংসের ওপর ভ্যাট আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর আগে এই শিল্পের প্রসারে সংস্থার কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠায় বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন। বাঙালীর প্রাণিজ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎসই মাংস। যার বড় একটি যোগান আসে গরুর মাংস থেকে। খাতাপত্রের হিসাবে প্রতিবছরই দেশে পাওয়া চাহিদার চেয়ে ২৫০ কেজি বেশি মাংস সরবরাহ দেখানো হলেও বাস্তবে গরুর মাংসের ঘাটতি রয়েছে। ভারত থেকে গরু আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপের পর এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতির কারণেই দেশে গরুর মাংসের দাম ৩০০ টাকা ৫০০ টাকা কেজিতে উঠে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষের এই আমিষের স্বাদ পাওয়া এখন দুরূহ ব্যাপার। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন বলছে, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশ থেকে বাংলাদেশে আসছে হিমায়িত গরুর মাংস। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ২০ টন। আগের অর্থবছরে যা ছিল ৫৫ টন। তার আগের ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আমদানি হয় মাত্র ১৮ টন। সংস্থাটি বলছে, বেকার তরুণসহ অনেকেই এখন যুক্ত হচ্ছেন খামারিতে। বাড়ছে এ খাতের সম্ভাবনাও। এমন অবস্থায় মাংস আমদানির সিদ্ধান্তে ক্ষতি হবে এই শিল্পের। এমন মত ব্যবসায়ীদেরও। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি নীতির সংশোধনসহ আরোপিত ভ্যাট হ্যার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটি বলছে, এমন অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন খামারিরা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পোল্ট্রি আর মৎস্য খাতেও। আমদানি করা মাংসের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে আমলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এনবিআর। ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বাড়ছে গরুর খামার। বাড়ছে মাংসের উৎপাদন। ফলে, দেশের বাজারে গরুর মাংসের দাম কমতে সময় লাগবে না খুব একটা।
×