ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শীতেও সতেজ ত্বক

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

শীতেও সতেজ ত্বক

শীতে রুক্ষতার ছাপ পড়ে আমাদের ত্বকে। শীতের এই সময়ে ত্বকের যত্ন সবচেয়ে বেশি উপকারী ময়েশ্চারাইজার ক্রিম, গ্লিসারিন, লোশন আর অলিভ ওয়েল। তবে ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করা উচিত এসব প্রসাধনী। ভ্যাসলিন, ডাব, পন্ডস, প্যারাসুট, নেভিয়া, বরোপ্লাস, ইয়ার্ডলিসহ নানা নামী-দামী ব্র্যান্ডের বডি লোশন। তবে যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের ক্ষেত্রে বডি লোশন ব্যবহার করাই ভাল। যাদের রুক্ষ ত্বক তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদাভাবে বডি লোশনের ব্যবহার আপনার ত্বককে খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে। সেক্ষেত্রে অর্ধেক বডি লোশনের সঙ্গে গ্লিসারিন আর তার সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে লোশন আর গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করলে বেশ চটপট সুফল পাওয়া যায়। যারা বাইরে বেশকিছুটা সময় কাজের ব্যস্ততার জন্য কাটান তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশ উপকারী। আর যাদের ত্বক খুব রুক্ষ কিংবা তৈলাক্ত না তারা অনায়াসে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন। সারা দিনের কাজের ব্যস্ততা আর তার সঙ্গে পাওয়া ত্বকের এই বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতে খুব সহজে আপনার হাতের নাগালেই পাবেন এসব প্রসাধনী। তবে কেনার আগে মেয়াদের উত্তীর্ণের সময় আর আপনার ত্বকের সঙ্গে কতখানি মানাচ্ছে তার দিকে নজর রাখুন। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার অন্যতম উপায় হলো ময়েশ্চারাইজিং। সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে ক্লিনজিং, টোনিং তো বটেই পাশাপাশি নজর দিতে হবে ময়েশ্চারাইজিংয়ের দিকেও। বাজার থেকে কেনা কৃত্রিম ময়েশ্চারাইজারের পরিবর্তে যদি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে উঠবে আকর্ষণীয় এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার আপনি ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন! শুধু প্রথমে জেনে নিন আপনার ত্বকের ধরন, তারপর ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজিংয়েই পাবেন আকর্ষণীয় ত্বক। শুষ্ক ত্বকের জন্য * ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে প্রতিদিন বিকেলে অলিভ অয়েল বা ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ তেল লাগান। * অলিভ অয়েল, লেবুর রস, ডিমের সাদা অংশ ভাল করে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি খুব ভাল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। * ভিটামিন ও ফ্যাট সমৃদ্ধ নারিকেল তেল ত্বক নরম ও মসৃণ রাখে। নারিকেল তেলের সঙ্গে কোকোয়া বাটার মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এই ময়েশ্চারাইজার ত্বকের ওপর প্রতিরক্ষামূলক পরত তৈরি করে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। * মধু ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। লেবুর রস, দই, ডিমের সাদা অংশ, মধু ভাল করে মিশিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মধুর সঙ্গে গুঁড়া দুধ মিশিয়েও লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য * টমেটোর রস ভাল ময়েশ্চারাইজার। এটা খোলা রোমকূপের সমস্যা প্রতিরোধ করে। * গোলাপজলের সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। গোসলের পরে ত্বকে লাগান। * লেটুসপাতার রস, মধু, লেবুর রস মিশিয়ে ক্লেনজিং, টোনিংয়ের পর নিয়মিত লাগান। * আপেল কুরিয়ে নিন। এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর ঠান্ড পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। * পাকা পেঁকে চটকে রাতে শুতে যাওয়ার আগে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য * ৫-৬ ফেঁাঁটা আমন্ড অয়েল ও গোলাপজল ভাল করে মিশিয়ে ত্বকে মাসাজ করুন। * লবণ ছাড়া মাখন ও কমলার রস মিশিয়ে গোসলের আগে ত্বকে লাগান। ত্বক নরম হবে। * ভিনেগার, অলিভ অয়েল, মধু মিশিয়ে গোসলের পর মাসাজ করুন। * স্ট্রবেরি চটকে নিন। এর সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগান। ত্বক উজ্জ্বল ও চকচকে হবে। * গ্রিন টি-এর লিকার, আমন্ড অয়েল ও সামান্য পানি মিশিয়ে গরম করে নিন। ঠান্ড হলে এতে ভিটামিন-ই অয়েল মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
×