ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের অনবদ্য অভিনয়ের রূপায়ণ ‘আবোল তাবোল’

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

শিক্ষার্থীদের অনবদ্য অভিনয়ের রূপায়ণ ‘আবোল তাবোল’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাচ হচ্ছে, গান হচ্ছে। তারই মাঝে সংলাপে সংলাপে এগিয়ে চলে নাটকের পটভূমি। মঞ্চে আবির্ভূত হতে থাকে নানা চরিত্র। বর্ণিল পোশাকে মানুষের সঙ্গে হাজির হয় কুমির, খরগোশ, সজারু কিংবা পেঁচারূপী চরিত্ররা। শিক্ষার্থীদের অনবদ্য অভিনয়শৈলীতে এগুতে থাকে প্রযোজনার পরিসর। সেই সুচারু অভিনয়ে কখনো হেসে ওঠা কিংবা করতালি দিয়ে মুগ্ধতার প্রকাশ ঘটান অভিভাবক ও শিক্ষকরা। এভাবেই ভালোলাগার অনুভূতি ছড়িয়ে মঞ্চস্থ হলো ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের শত শিক্ষার্থীর অভিনীত মঞ্চনাটক ‘আবোল তাবোল’। সুকুমার রায়ের গল্প ‘পাগলা দাশু’ ও ‘হ-য-ব-র-ল’ অবলম্বনে নির্মিত নাটকটির নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন ইভান রিয়াজ। রাজধানীর নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বেইলী রোড ক্যাম্পাস মাঠে রবিবার দুপুরে প্রযোজনাটির প্রথম মঞ্চায়ন হয়। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় প্রযোজনাটি। দাশু নামের এক খ্যাপাটে চরিত্রকে নির্ভর করে এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী। একটি বয়েজ স্কুলের এই শিক্ষার্থীর সঙ্গে যুক্ত হয় তার একদল বন্ধু। পাগলামি আর খ্যাপামির জন্য সব বন্ধুরা তাকে ‘পাগলা দাশু’ বলে ডাকে। বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিবছর দাশু তার অতি-অভিনয় দিয়ে নষ্ট করে দেয় নাটক। এ কারণে বন্ধুরা সিদ্ধান্ত নেয় এবার তারা আর দাশুকে নেবে না নাটকে। কিন্তু দাশুর বুদ্ধির কাছে হেরে গিয়ে এবারও বন্ধুরা শেষমেশ তাকে ‘অবাক জলপান’ নাটকে একটি চরিত্র দিতে বাধ্য হয়। প্রতিবারের মতো এবারও দাশু সকল নির্দেশনা ভুলে নিজস্ব সৃজনশীলতা দিয়ে অভিনয় শুরু করে। বন্ধুরা রেগে গিয়ে ধাওয়া করে দাশুকে। সে দৌড়ে পালাতে পালাতে একসময় ক্লান্ত হয়ে এক গাছের নিচে আশ্রয় নিয়ে তন্দ্রায় চলে যায়। ঘুমের ঘোরে দাশু পৌঁছে যায় ‘হ-য-ব-র-ল’র দেশে। তার সৃজনশীল মস্তিষ্ক সামনে হাজির করে পশু-পাখিসহ মজার মজার চরিত্র। ঘুম ভাঙলে দাশু দেখে বন্ধুরা তাকে ঘিরে ফেলেছে। কিন্তু দাশু তো আর হারবার পাত্র নয়। তাই সে বন্ধুদের কাছে গল্প জুড়ে দেয়। দাশুর গল্পের চোটে তারা আর নিজেদের ধরে রাখতে পারে না। সবাই মিলে ‘পাগলা দাশু’র ‘হ-য-ব-র-ল’ গল্প শুনতে থাকে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদিবা আঞ্জুম অন্তিপা, পারিজা আবেনি হক, লামিয়া তাজিম জারা, দীপান্বিতা বড়ুয়া, ফারিশতা লাবিবাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ১০০ শিক্ষার্থী। প্রযোজনাটির কোরিওগ্রাফি করেছেন হোসাইন মাহবুব। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন মুকুল রায়। সেট ডিজাইন করেছেন রাহুল। প্রপস্ ডিজাইন করেছেন সুমিত তেওয়ারি ও নোঙর রাসেল। আর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নাটকটির সমন্বয় করেছে আজিমপুর শাখা। চিত্রকে রশীদ চৌধুরীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ॥ দেশের প্রথম প্রজন্মের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী রশীদ চৌধুরী। দীর্ঘ তিন দশক পর শিল্পরসিকরা দেখতে আসে শিল্পকলায় স্বতন্ত্র ও মৌলিকতার সাক্ষর রাখা এই শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। রবিবার থেকে ধানম-ির গ্যালারি চিত্রকে শুরু হলো এই শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। সেসব শিল্পে প্রচলিত ফর্ম ভেঙ্গে নতুন করে ফর্ম গড়া, ট্যাপেস্ট্রিতে লোকজ ফর্মের মিশেল এবং একইসঙ্গে উত্তর আধুনিকতার স্পর্শ পাওয়া যায়। নস্টালজিয়া ও রোমান্টিকতার মিশ্রণে চিরায়ত বাংলার দৃশ্যপট যেন নবরূপে ধরা পড়েছে রশিদ চৌধুরীর ট্র্যাপেস্ট্রিতে। পাশ্চাত্যের আধুনিক শৈলীর প্রয়োগে যেমন বিমূর্ত ধারার চিত্রকর্ম রয়েছে, তেমনি রয়েছে পাট-রেশমের মিশ্রণে বুনন শিল্প (ট্যাপেস্ট্রি)। প্রদর্শনীতে বিভিন্ন সময়ে আঁকা শিল্পীর পেইন্টিং ও ট্যাপেস্ট্রি মিলিয়ে ঠাঁই পেয়েছে ৪২টি শিল্পকর্ম। ধানম-ির ৬ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর বাড়ির প্রদর্শনালয়ে দুই সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। একযুগে চ্যানেল আই বইমেলা সরাসরি ॥ প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিদিন অমর একুশে গ্রন্থমেলা সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল আই। বইমেলা সরাসরি অনুষ্ঠানটি ইতোমধ্যে এক যুগে পদার্পণ করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক বইমেলা সরাসরিতে প্রতিদিন থাকবে নতুন বই পরিচিতি, লেখক, দর্শক ও দর্শনার্থীদের সাক্ষাৎকারসহ বইমেলার নানা খুঁটিনাটি। বইমেলা সরাসরি সম্প্রচারের এই উদ্যোগে চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। রবিবার চ্যানেল আই ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, কালের কণ্ঠ সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ও আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারোয়ার। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে আনন্দ আলো সম্পাদক রেজানুর রহমান জানান, প্রতিদিন প্রকাশিত হবে ‘বইমেলা প্রতিদিন’। এটি মেলায় আগত দর্শক, লেখক, সাহিত্যিক ও দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে এবং মেলা শেষে সেরা একশ বই নিয়ে একটি ক্যাটালগ প্রকাশ করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণ থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্র্রচারিত হবে শনি, রবি, বুধ ও শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় এবং সোম ও মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
×