ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে ছিনতাই মামলার আসামি এএসআই কারাগারে

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

যশোরে  ছিনতাই মামলার আসামি এএসআই কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঝিকরগাছা উপজেলা গদখালী এলাকার রজনীগন্ধা কোল্ডস্টোরের পাশ থেকে ১২ লাখ টাকা ছিনতাই মামলার আসামি এএসআই শাহ আলমকে রবিবার গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমান কর্মস্থল যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা। শাহ আলমের বাড়ি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার নিজপাড়া গ্রামে। পিতার নাম মৃত শাহাবুদ্দিন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই আবুল খায়ের জানান, যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই শাহ আলমকে গ্রেফতার করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিচারক এএসআই শাহ আলমকে কারাগারে প্রেরণ করেন। জানা যায়, যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মোঃ আব্দুর রশিদ পেশায় একজন লেগুনা গাড়ির চালক। সে বর্তমানে বেনাপোলের রুশা এন্টারপ্রাইজে লেগুনা চালক হিসেবে কর্মরত। গত ১ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টায় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ বকুল মিয়া তার কাছে ১২ লাখ টাকা দিয়ে যশোরে অবস্থানরত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ইশতিয়াক আলমের কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে। ওই দিন বেলা একটায় টাকা নিয়ে আব্দুর রশিদ তার লেগুনা (যশোর ছ-১১-০১৫৫) চালিয়ে যশোরের উদ্দেশে রওনা হয়। বেলা দেড়টার সময় যশোর-বেনাপোল সড়কের গদখালী এলাকার রজনীগন্ধা কোল্ডস্টোরের উত্তর পাশে পৌঁছালে হঠাৎ একটি মোটরসাইকেলে ৩ জন লেগুনার সামনে গিয়ে গতিরোধ করে। তারা লেগুনার কেবিনের ভিতরে ঢুকে পিস্তল ও ছোরা দিয়ে জিম্মি করে ১২ লাখ টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। আব্দুর রশিদ চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন পথচারীরা এগিয়ে এসে যশোর শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার মহাসীন সরকারের ছেলে জীবন সরকার ও গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ফসলী গ্রামের আলহাজ কাজী আব্দুস সালামের ছেলে কাজী জহুরুল হককে দেড় লাখ টাকা ও একটি কালো রঙের পালসার যার নং (ঝিনাইদহ ল-১১-০১৯৫) ধরে ফেলে। ধৃতরা পলাতক আসামি শাহ আলম ও চাঁচড়া মোড়ের হারুন কাজীর ছেলে সুমনের নাম প্রকাশ করে। এই ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২ জানুয়ারি গ্রেফতারকৃত আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)তে যাওয়ায় ডিবি’র এসআই আবুল খায়ের মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান। গ্রেফতারকৃত আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এদিকে মামলার পলাতক আসামি কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই শাহ আলম থানা থেকে মেডিক্যাল ছুটিতে থাকলেও পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড (সংযুক্ত) করা হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শাহ আলমকে গ্রেফতারের অনুমতি চেয়ে আবেদন জানায়।
×