স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামা-ভাগ্নেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শরণখোলা উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা স্কুল ছাত্রীর মা ফাতেমা বেগম (৩৮) বাদী হয়ে অভিযুক্ত কলেজ ছাত্র রায়হান উদ্দিন রুমান (২১) ও তার আপন মামা ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৮) কে আসামি করে শরণখোলা মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই তাদের গ্রেফতার করে।
মামলায় বাদীর লিখিত অভিযোগে থেকে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন হাওলাদারের ছেলে ও মোড়েলগঞ্জ এস.এম কলেজের আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থী রায়হান উদ্দিন রুমান দীর্ঘদিন ধরে তার স্কুল পড়ুয়া দশম শ্রেণীর কন্যা (১৫) কে নানা কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে তার মেয়ে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছুটির পর জোর করে উপজেলার খোন্তাকাটা এলাকার ফারুক আকনের বাড়ি সংলগ্ন গ্রামের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে কৌশলে খাবারের সঙ্গে চেতনা নাশক ওষুধ খাওয়ানো হয় ওই স্কুল ছাত্রীকে। এতে সে অচেতন হয়ে পড়লে লম্পট রায়হান একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে তার মুঠোফোনে ফোন এলে তিনি মেয়ের অসুস্থতার কথা জানতে পারেন। খবর পেয়ে একই দিন সন্ধ্যায় মুমূর্ষু অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে রায়হানের মামা ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে খুন করা হবে মর্মে ওই স্কুল ছাত্রীর মাকে হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামা ভাগ্নেকে আসামি করে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
