ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরগুনায় প্রবেশপত্র বিতরণে টাকা নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

 বরগুনায় প্রবেশপত্র বিতরণে টাকা নেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৮ জানুয়ারি ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোর্ডের আদেশ উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষকরা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩শ’ থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী দুই উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫২ জন। এর মধ্যে আমতলীতে ২৬ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ও তালতলীতে ১৪ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৫২ পরীক্ষার্থী রয়েছে। আসন্ন এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় প্রবেশপত্র বিতরণে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩শ’ থেকে ১ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বোর্ডের নির্ধারিত প্রবেশপত্র বাবদ কোন ফি নেই কিন্তু শিক্ষকরা এ টাকা আদায় করছে। উপজেলার গাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫শ’ টাকা, ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩শ’ টাকা, আমতলী এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪শ’ টাকা, চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮৫০শ’ টাকা, আড়পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার টাকা, চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩শ’ টাকা, কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫শ’ টাকা, আঠারোগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭শ’ টাকা, উত্তর তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪শ’ টাকা, কুকুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩শ’ টাকা ও উত্তর সোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭শ’ টাকা আদায় করছে। এছাড়া ২৮ মাদ্রাসায় ৭৬৭ পরীক্ষার্থী রয়েছে। ওই মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে পরীক্ষার্থী প্রতি পূর্বে পাতাকাটা মেহের আলী দাখিল মাদ্রাসায় ৬শ’ টাকা, কুতুবপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় ৭শ’সহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক কয়েকজন পরীক্ষার্র্থীর অভিভাবক জানান, কেন্দ্র ঠা-া ফি’র নামে মাদ্রাসার প্রধানরা টাকা আদায় করছে। চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী গৌরব চন্দ্র দেউরির বাবা নিখিল চন্দ্র দেউরি জানান, প্রধান শিক্ষক মোঃ হুমায়ূন কবির প্রবেশপত্র বাবদ ৫৫০ টাকা ও হল খরচ বাবদ ৩০০ টাকা নিয়েছেন।ওই বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ফয়সাল ও সুজন জানান, প্রবেশপত্র ও বিভিন্ন ফি’বাবদ প্রধান শিক্ষক ৮৫০ টাকা নিয়েছেন। চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ূন কবির প্রবেশপত্র বাবদ ৫৫০ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, পরীক্ষার কেন্দ্রে খরচ আছে, তাই নিয়েছি। গাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী রাবেয়া, মরিয়ম, ফরিদ ও লিহাব জানান, প্রবেশপত্র বাবদ স্যারেরা ৫০০ টাকা নিয়েছেন।ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাসেম জানান, প্রবেশপত্র বাবদ যাদের ব্যবহারিক বিষয় আছে, তাদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা এবং যাদের ব্যবহারিক বিষয় নেই তাদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা আদায় করা হয়েছে। প্রবেশপত্রের ফি টাকা পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় নিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেনি। আমতলী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকমল হোসেন খান বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরোয়ার হোসেন বলেন, প্রবেশপত্রের নামে টাকা নেয়ার কথা নয়, যদি কোন প্রতিষ্ঠান নিয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×