ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গলাচিপায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে স্বাস্থ্যসেবা ॥ আতঙ্ক

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

গলাচিপায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে স্বাস্থ্যসেবা ॥ আতঙ্ক

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ দীর্ঘদিনেও প্রয়োজনীয় সংস্কার কিংবা মেরামত না হওয়ায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরনো দোতলা ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। ছাদ থেকে বেরিয়ে পড়েছে মরিচাধরা লোহার রড। বিমের অবস্থাও খুব খারাপ। বিমের রড বেরিয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনেই চলছে নারী ও শিশুদের চিকিৎসাসেবা। এ অবস্থায় চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের পাশাপাশি চিকিৎসকদেরও আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে পুরনো এ ভবনটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে একাধিক তাগাদাপত্র দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সূত্র জানায়, উপজেলা শহরের রতনদী এলাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান ভবনটি প্রথমে একতলা নির্মিত হয়েছে গত শতকের ষাটের দশকে। ১৯৯২ সালে ভবনটি দোতলা করা হয়। তখন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছিল ৩১ শয্যার। ২০০৫ সালের ২৯ নবেম্বর ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ওই সময়ে পুরনো ভবন লাগোয়া আরেকটি ভবন নির্মাণ করে। যা পুরুষদের ওয়ার্ড এবং পুরনো ভবনটি নারী ও শিশুদের ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সূত্র আরও জানায়, গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যার হলেও এখানে নিয়মিত ৮০-৯০ রোগী ভর্তি থাকে। কখনও কখনও এ সংখ্যা শতাধিকে পৌঁছে। তখন শয্যা সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করে। এছাড়া, চিকিৎসক সঙ্কটও প্রকট। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের মঞ্জুরিকৃত পদ ৩৯ টি হলেও কর্মরত রয়েছেন ১৩ জন। ২৬ টি পদই শূন্য। পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্র জানায়, অতি সম্প্রতি গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুঃ মনিরুল ইসলাম কমপ্লেক্স ভবনের বেহাল দশার বিবরণ জানিয়ে পর পর দু’টি চিঠি দিয়েছেন। এ সব বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুঃ মনিরুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক সঙ্কট সামাল দেয়া সম্ভব হলেও পুরনো ভবনটি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবনটির জরাজীর্ণ ছাদ ও বিমের পলেস্তরা খসে পড়ছে। শুধু রোগী ও তাদের স্বজনরাই নয়, চিকিৎসকদেরও আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, জরাজীর্ণ ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে একাধিক চিঠি দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। এ বিষয়ে পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদুল আলম জানান, আসলেই ভবনটি অনেক পুরনো। তবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়নি। সংস্কার করতে হবে। উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলতি বছরে সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
×