স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘরোয়া ফুটবলে এ পর্যন্ত সব ধরনের শিরোপা জিতলেও এখনও দুটি শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপ আছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব লিমিটেডের। একটি হচ্ছে সুপার কাপ, অন্যটি স্বাধীনতা কাপ। শেষেরটি অবশ্য জেতার কাছাকাছিই চলে গিয়েছিল বেঙ্গল ইয়োলারা। ২০১২ সালের ফাইনালে হেরে গিয়েছিল শেখ রাসেলের কাছে। সদ্যসমাপ্ত প্রিমিয়ার লীগেও রানার্সআপ হয়েছে। এখানেও জেতা হয়নি শিরোপা। এজন্য চলমান স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতে মৌসুম শেষ করতে এবার তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেই লক্ষ্য পূরণে সবার আগে এগিয়ে তারাই। শনিবার থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের নবম আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের খেলা। এদিন অনুষ্ঠিত একমাত্র খেলায় শেখ জামাল অনায়াস জয়ে সবার আগে নিশ্চিত করে সেমিফাইনালে নাম লেখানো। তারা ২-০ গোলে হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেডকে। খেলার প্রথমার্ধে অবশ্য কোন গোল হয়নি। ২০১৬ সালের স্বাধীনতা কাপেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। গ্রুপ পর্বের সেবারের মোকাবেলায়ও অবশ্য জিতেছিল জামালই, ৫-০ গোলে।
আজ রবিবার একই মাঠে বিকেল চারটায় দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই ‘গঞ্জ’ ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি।
শনিবারের ম্যাচের প্রথমার্ধে কোন দলই জোরালো-উল্লেখযোগ্য আক্রমণ শাণাতে পারেনি। পুরো ম্যাচে উভয় দলই কর্নার পায় ৩টি করে। আক্রমণ সংখ্যায় এগিয়ে ছিল জামালই (১৫৭-১৪৯)। বিপজ্জনক আক্রমণেও তাই (১২৬-১০১)। অন টার্গেটে শট নেয়ার বেলাতেও তাই (১৪-৪)। বল নিয়ন্ত্রণেও (৫৩%-৪৭%)। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাদার্সকে দারুণ চাপের মুখে ফেলে জামাল। একের পর এক আক্রমণে তাদের ব্যস্ত রাখে ধানমন্ডির ক্লাবটি। ৫৩ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন নূরুল আবসার।
সুযোগ ছিল কিন্তু জোরালো শট নিতে পারেননি এ ফরোয়ার্ড। তার দুর্বল শটটি সহজেই ধরে ফেলেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক ও দলীয় অধিনায়ক সুজন চৌধুরী। ৫৫ মিনিটে এবার আর ব্যর্থ হননি আবসার। বক্সের খুব কাছেই বল পেয়ে যান। পোস্ট লক্ষ্য করে শটও নেন। কিন্তু গোলরক্ষক প্রথম প্রচেষ্টায় বল ফিরিয়ে দেন। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় সাইড ভলিতে ঠিকই গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আবসার (১-০)।
৮৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মাহবুব হোসেন রক্সির শিষ্যরা। বা প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ডিফেন্ডার আনিসুর আলম দারুণ পাস দেন সতীর্থের উদ্দ্যেশে। বল পেয়ে তীব্র শটে লক্ষ্যভেদ করে সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে মাতেন মিডফিল্ডার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী (২-০)। শেষ পর্যন্ত এই গোলেই জয় নিশ্চিত হয় জামালের। সেমির টিকেট পাওয়ার চিত্তসুখ নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।