ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গাইবান্ধায় বিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়াই গাছ কর্তন

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮

গাইবান্ধায় বিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়াই গাছ কর্তন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৭ জানুয়ারি ॥ সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর আদর্শ দ্বিমুখী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নওশীর হারুন ইঞ্জিন বন বিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই লক্ষাধিক টাকার মেহগনি গাছ কেটেছে। পরে এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে বন বিভাগের লোকজন এসে গাছ জব্দ করে। জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নে কৃষ্ণপুর আদর্শ দ্বিমুখী বালিকা বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার সময় বিদ্যালয়ের চারপাশে মেহগনি, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির বিপুলসংখ্যক গাছ রোপণ করা হয়। ইতোমধ্যে গাছগুলো পরিণত হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নজরে পড়ে। প্রধান শিক্ষক নওশীর হারুন ইঞ্জিন বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই গাছগুলো আত্মসাতের জন্য কাটা শুরু করে। এলাকাবাসী গাছ কাটা নিষেধ করলেও প্রধান শিক্ষক তা উপেক্ষা করে গাছ কাটা অব্যাহত রাখে। পরে এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় বন বিভাগের লোক এসে গাছগুলো জব্দ করে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের পাশে নার্সারির মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, এটা নতুন কিছু বিষয় নয়। এর আগেও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের বড় গাছগুলো কারো অনুমতি ছাড়াই নিজের মনগড়াভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন। কোন কিছু জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ কখন কাটতে হবে সেটা একান্তই তার ব্যাপার। সাদুল্যাপুর উপজেলা ফরেস্ট অফিসার আব্দুল হাই জানান, কর্তনকৃত গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নওশীর হারুন ইঞ্জিন বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন নিয়েই গাছগুলো কর্তন করেছি।
×