ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রত্যাবাসনে আশার আলো

রাখাইনের মংডুতে চলছে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থাপনা নির্মাণ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮

রাখাইনের মংডুতে চলছে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থাপনা নির্মাণ

হাসান নাসির/এইচএম এরশাদ ॥ নানা অজুহাতে দফায় দফায় থমকে যাচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর কাজটি। মিয়ানমার সরকারের গড়িমসির পাশাপাশি রয়েছে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিও। তবে এরমধ্যেও আশার আলো হচ্ছে ফিরিয়ে নেয়া রোহিঙ্গাদের রাখতে রাখাইন প্রদেশের মংডুতে স্থাপনা নির্মাণের কাজ। এ কাজটি দ্রুত এগিয়ে চলেছে বলে খবর দিচ্ছে মিয়ানমারের গণমাধ্যম। এদিকে দফায় দফায় প্রত্যাবাসন শুরুর কাজ বিলম্বিত হলেও রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রাথমিক আবাসন গড়ার কাজ চলমান রয়েছে। আর এই বিষয়টিকে দেখা হচ্ছে আশার আলো হিসাবে। মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, সরকারী উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের জন্য বাড়িঘর, যেখানে প্রথমে রাখা হবে প্রত্যাবাসিতদের। এরপর তাদের নিজ নিজ ভিটেতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। আশ্রয়ণ নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছে প্রতিবেশী ভারত সরকার। প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় আনন্দ এবং উৎকণ্ঠা দুটোই পরিলক্ষিত হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে রাখাইন প্রদেশে যাদের ঘরবাড়ি, সহায় সম্পদ, ব্যবসা বাণিজ্য তথা আয় রোজগারের ভাল ব্যবস্থা ছিল তারা ফিরে যেতে উদগ্রীব। কিন্তু বেশিরভাগই আর্থিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল এবং নিঃস্ব। ক্যাম্প ছেড়ে পালাচ্ছে রোহিঙ্গা ॥ বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কাজটি এখনও শুরু না হলেও যে কোন সময়ে হতে পারে। আর এ সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে দেশে ফেরার শঙ্কায় রোহিঙ্গারা। তারা ধারণা করতে পারছে যে, শেষ পর্যন্ত তাদের ফিরতেই হবে। সে কারণে অনেক রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে পালাচ্ছে। বিশেষ করে নিজ ভূমিতে যাদের অবলম্বন করার মতো কিছুই নেই তারা বাংলাদেশেই থেকে যেতে ইচ্ছুক। প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে সীমান্ত এলাকায় ৫ ক্যাম্প ॥ রোহিঙ্গাদের ধাপে ধাপে প্রত্যাবাসনের জন্য সীমান্ত এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে ক্যাম্প। সাময়িক আশ্রয়ণ হিসেবে ঘুমধুম, নয়াপাড়া এবং টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় ৫টি ক্যাম্প এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে। এরমধ্যে প্রথমে নাইখ্যংছড়ির ঘুমধুম ও টেকনাফের নয়াপাড়া দুইটি ট্রানজিট ক্যাম্প হয়ে তাদের রাখাইন প্রদেশে পাঠানো হবে। এ কার্যক্রম দেখে রোহিঙ্গারা ফিরে যাওয়ার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি ॥ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের আগে যে কোন একটি নির্ধারিত স্থানে সরিয়ে নেয়ার দাবি করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, রোহিঙ্গারা টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত এলাকার জন্য হুমকিস্বরূপ। তাদের সহযোগী তথা পুরনো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আরএসও ক্যাডারদের সহযোগিতায় প্রত্যাবাসনবিরোধী আন্দোলনে নামতে পারে।
×