জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি পুলিশ চেকপয়েন্টে এ্যাম্বুলেন্স বোমা বিস্ফোরিত হয়ে অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। শনিবারের এ ঘটনায় আরও ১৫৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াহিদ মাজরো। হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্সে বিস্কোরক বোঝাই করে সেটিকে গাড়িবোমায় রূপান্তরিত করে তালেবান জঙ্গীরা এ নৃশংস হামলা চালায়। তালেবান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। খবর বিবিসি, আল-জাজিরা ও এএফপি’র।
শনিবার দুপুরের দিকে আবারও আত্মঘাতী হামলায় কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কেন্দ্রস্থল। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলাটি চালানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুরনো ভবনের ঠিক পাশে। সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও হাই পিস কাউন্সিলের কার্যালয় এবং পুলিশের সদর দফতরসহ বহু দেশের দূতাবাস রয়েছে। এ্যাম্বুলেন্সে করে বিস্ফোরক নিয়ে এসে জনাকীর্ণ স্থানে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সে সময় ওই স্থানে রাস্তায় বহু লোকের ভিড় ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে অন্তত তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, শহরের সব স্থান থেকে আকাশে ধোঁয়ার কু-লি উঠতে দেখা যায়। সংবাদমাধ্যমগুলোকে ভীতিকর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আত্মঘাতী হামলাটি যখন চালানো হয় তখন রাস্তাটি লোকে লোকারণ্য ছিল। বহু সংখ্যক মানুষকে হত্যার উদ্দেশে এমন একটি সময় বেছে নিয়েছিল জঙ্গীরা। তারা জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুরনো এক কার্যালয়কে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ওই হামলা চালানো হয়। ঠিক এক সপ্তাহ আগে কাবুলের একটি বিলাসবহুল হোটেলে তালেবান জঙ্গীদের হামলায় ২২ জন নিহত হয়। তাদের বেশিরভাগই ছিল বিদেশী।