ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাসপাতালে কাতরাচ্ছে যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষীর ভাইপো

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮

হাসপাতালে কাতরাচ্ছে যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষীর ভাইপো

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বাঘারপাড়ার প্রেমচারায় মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষীর ভাইপোর ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে আটক আমজাদ রাজাকারের পক্ষের লোকজন। মামলার সাক্ষী এহিয়ার মোল্লার ভাইপো প্রেমচারা গ্রামের ইরাদত মোল্লার ছেলে জহির মোল্লার (৪০) ওপর শুক্রবার রাতে বাড়ির অদূরে আম বাগানে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। আমজাদ রাজাকারের যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী হওয়ায় আলম মোল্লা, টাক জাহিদ, মানিক, তোরাব মোল্লা, জুলফিকার, সবুরসহ সন্ত্রাসীরা এহিয়ার মোল্লার দোকান ভাংচুর করে। তারা জহিরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর আগেও তারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শহীদ পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে। এমনকি যুদ্ধাপরাধ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খানের তদন্তে বাধা প্রদান ছাড়াও তার গাড়িতে হামলার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক খান বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ চার্জশীট প্রদান করেছে। এদিকে, গত ২৩ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় ঢাকার তিতুমীর কলেজের ছাত্র সুমন ও তার মায়ের ওপর হামলা চালায় এই চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। সে হামলায় আহত সুমন এখনও চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসী বাহিনীর একটি সাজানো মামলায় যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী এহিয়ার মোল্লাকে আসামি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে পুলিশ এবং সন্ত্রাসী উভয়ের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। উল্লেখ্য, আমজাদ রাজাকারের যুদ্ধাপরাধ মামলায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঘারপাড়ায় একের পর এক হামলা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার শিকার হচ্ছেন শহীদ পরিবারের সন্তান এবং তাদের পক্ষীয়রা।
×