ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অন্ধ বাউল আবদুল হালিম

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮

অন্ধ বাউল আবদুল হালিম

‘মনের দুঃখ আমি বলিব কারে বিশ্বাস করব কারে আমি/যারে বিশ্বাস করলাম সে দেয় মাথায় বাড়ি’, ‘ঠেইকা যাবে দেহ তরী লাগবে টানাটানি/সেদিন শুকাইবে দিল দরিয়ার পানি’। এই আধ্যাত্মিক গানের সংলাপ সুরে সুরে গেয়ে মানুষের মনের খোরাক জুটিয়ে থাকেন অন্ধ বাউল আবদুল হালিম। গান গাইতে হালিমের কোন মঞ্চ বা আসরের প্রয়োজন হয় না। পথে-ঘাটে, হাটে-বাজারে বা বাসস্ট্যান্ডে মাটিতেই বসে পড়েন গান গাইতে। বাউল হালিম নিজের হাতে বাজান ঢোল আর চাচাত ভাই জাহাঙ্গীর সঙ্গত দেন খুনজুনি (করতাল) বাজিয়ে। ঢোল এবং খুনজুনির তালে হালিমের গান পথচারী দর্শকশ্রোতা গোল বৈঠক দিয়ে বসে শ্রবণ করেন। অনেক দর্শকশ্রোতা আবেকপ্রবণ হয়ে পাঁচ দশ টাকা বকশিশ দিয়ে থাকেন। এই বকশিশের টাকায় অন্ধ শিল্পী হালিমের সংসার ছাড়াও চলে তার চাচাত ভাই জাহাঙ্গীরের সংসারও। মির্জাপুর উপজেলার আনাইতারা গ্রামের মরহুম আবদুল মিয়ার ছেলে আবদুল হালিম। বয়স যখন দুই তখন টাইফয়েট রোগে আক্রান্ত হয়ে হালিমের দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায়। একটু বড় হয়ে হাট বাজারে গান গেয়ে টাকা পয়সা তুলতেন অন্ধ হালিম। এখন তিনি তার সহযোগী চাচাত ভাই জাহাঙ্গীরকে নিয়ে জনবহুল রাস্তায় বা হাট-বাজারে যে কোন স্থানে বসে শুরু করে দেন গানের আসর। আবদুল হালিম বলেন, গান মানুষের হৃদয়ের কথা বলে। মনে ছুঁয়া লাগে বিধায় মানুষ আমার গান শুনে। গান শুনে পাঁচ দশ টাকা বকশিশও দেন বলে তিনি জানান। - নিরঞ্জন পাল, মির্জাপুর থেকে
×