ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অসময়ে জিতল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮

অসময়ে জিতল অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা তিন হারে আগেই সিরিজ খুইয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ দুটি ম্যাচ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জন্য ছিল ব্যবধান কমানোর লড়াই। চতুর্থ ওয়ানডেতে ৩ উইকেটের নাটকীয় জয়ে সেটি আপাতত ৩-১ করল স্টিভেন স্মিথের দল। এ্যাডিলেডে দুদলের বোলারদের দাপট দেখানো ম্যাচে ৪৪.৫ ওভারে ১৯৬ রানে অলআউট হয় সফরকারী ইংলিশরা। জবাবে ট্রাভিস হেডের প্রায় সেঞ্চুরি (৯৬) ও টেলএন্ডার টিম পেইনের অপরাজিত ২৫ রানের দৃঢ়তায় ৩৭ ওভারে জয় পেতে ৭ উইকেট হারাতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। তবে মাত্র ২৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন স্বাগতিক পেসার প্যাট কামিন্স। জস হ্যাজলউড ও এন্ড্রু টাইয়ের নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। রবিবার পার্থে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করে দুর্দান্ত বোলিংই উপহার দিয়েছেন কামিন্স, হ্যাজলউডরা। প্রথম তিন ম্যাচে যেখানে চোখ ধাঁধানো ব্যাটিং করেছিল ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা। ইয়ন মরগানের দল এ্যাডিলেডে একদমই সেটা করতে পারেনি। স্বাগতিকদের ত্রিমুখী পেস আক্রমণের মুখে ৪৪.৫ ওভারে মরগানের দল অলআউট হয়েছে মাত্র ১৯৬ রানে। আটে নেমে ক্রিস ওকস ৭৮ রান না করলে ইংলিশরা আরও অনেক কম রানে গুটিয়ে যেত। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুটিয়ে যেতে পারত অস্ট্রেলিয়াও। তাদেরও যে শুরুটা ভাল হয়নি। ৭০ রানের মধ্যে ফিরেছেন তারকা ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (১৩), ক্যামেরন হোয়াইট (৩) ও অধিনায়ক স্মিথ (৪)। ১১২ রানের মধ্যে মিচেল মার্শকেও বিদায় করে লো-স্কোরিং লড়াইয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল ইংলিশ বোলারা। কিন্তু সঙ্গীদের আসা-যাওয়ার মিছিলেও ট্রাভিস হেড দেখেছিলেন অন্য কিছুর ইঙ্গিত সেঞ্চুরির। কঠিন বিপদের মুখে একপ্রান্ত আগলে রেখে শম্বুক গতিতে ব্যাটিং করেছেন এমনও নয়। বরং ১৫ বাউন্ডারিতে বেশ দ্রুতগতিতেই রান তুলেছেন হেড। তার ১০৫ বলের ইনিংসটি থমকে গেছে দলের জয় থেকে হাত ছোঁয়া দূরত্বে গিয়ে। ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হেড যখন মার্ক উডের শিকারে পরিণত হন, জয় থেকে অস্ট্রেলিয়া তখন মাত্র ১৭ রানের দূরে। হাতে ৪ উইকেট। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলে সেঞ্চুরিও হয়ে যেত। কিন্তু সব হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ার এ কষ্টের জয়ে হেডের সেঞ্চুরি (৯৬) না পাওয়াটাই আক্ষেপ হয়ে থাকবে। ১৫ চারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। আর ইংল্যান্ডের আক্ষেপ শুধু স্বল্প স্কোরের জন্য হেডের পর কামিন্সকে তুলে নিয়েও জয় না পাওয়া। আগে ব্যাট করে কয়েকটা রান যদি করা যেত। ত্রিশতম ওভারে বোলিংয়ে আদিল রশীদকে এনে বেশিরভাগ ফিল্ডারদের ১৫ গজের মধ্যে নিয়ে আসেন মরগান। সফরকারী অধিনায়ক সম্ভবত একটা ফাটকা খেলতে চেয়েছিলেন। জয় থেকে অস্ট্রেলিয়া তখন মাত্র ৪২ রান দূরে। হাতে ৫ উইকেট। এ অবস্থায় তো যে কোন কিছুই ঘটতে পারে। ঘটানোর বেশ কাছেই পৌঁছেও গিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী ৭ ওভারের মধ্যে আরও ২ উইকেট তুলে নিয়ে ভালই চাপ সৃষ্টি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৭৮ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। এর আগে হারা ম্যাচে দলীয় ৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট খোয়ানো ইংল্যান্ডকে চরম লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন আট নম্বরে নামা ক্রিস ওকস (৮২ বলে ৭৮, ৪ চার ও ৫ ছক্কা) ও দশম ব্যাটসম্যান টম কুরান (৩৫)।
×