ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

শীতল সন্ধ্যায় ছায়ানটে শেকড়ের সুরে সিক্ত শ্রোতা

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮

 শীতল সন্ধ্যায় ছায়ানটে শেকড়ের সুরে সিক্ত শ্রোতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছুটির দিনে শহরে ভেসে বেড়াল লোকজ গানের সুর। শীতলসন্ধ্যায় লোকগীতির মোহময়তায় সিক্ত হলো শ্রোতা। শেকড়ের গানে গানে সুররসিকের চৈতন্যে কড়া নাড়ল ফেলে আসা গ্রামীণ জীবন। সহজিয়া কথায় বয়ে গেল প্রাণের স্পন্দন। আর লোকসঙ্গীতের সেই আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হলো ধানম-ির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে। বাংলার লোককবিদের কালজয়ী লোকগানে সাজানো হয় এ সঙ্গীতাসর। সঙ্গীতানুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয় লোককবি কালা শাহ্ ফকীরকে। এই লোককবির গানের সঙ্গে মাটির গানের আসরে যুক্ত হয়েছিল বিজয় সরকার, খালেক দেওয়ান, কুটি মনসুর ও নুরুল ইসলাম জাহিদের গান। সঙ্গীতানুষ্ঠানের সূচনা কালা শাহ্ ফকীরের গান দিয়ে। সম্মেলক কণ্ঠে গীত হয় ‘আমার মুর্শিদ পরশমণি গো/লোহারে বানাইলা কাঞ্চা সোনা’। গান শেষে ছিল ছায়ানটের উপদেষ্টাম-লীর মফিদুল হকের স্বাগত কথন। যাপিত জীবনে লোকসঙ্গীতের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, লোকগান আমাদের সম্পদ। আর এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লোকগানকে সর্বসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায় ছায়ানট। সে প্রেক্ষিতেই প্রতিবছর পাঁচজন লোককবিকে বেছে নিয়ে তাদের গানগুলো সকলের সামনে হাজির করা হয়। এসব লোকগানের তাৎপর্য অসাধারণ। এ গানেরই একটি ধারা বাউল গান হিসেবে সম্প্রতি ইউনেস্কোর স্বীকৃতিও পেয়েছে। গানগুলোর পরম্পরাকে ধারণ করার সময় এসেছে। স্বাগত কথন শেষে সম্মেলক কণ্ঠে গীত হয় বিজয় সরকারের গান ‘আমি গানের মালা গাঁথিয়া’। এছাড়া অনুষ্ঠানে পরিবেশিত এই লোককবি রচিত অন্য গানগুলোর শিরোনাম ছিল ‘আমি গানের মালা গাঁথিয়া’, ‘আমি যারে বাসি ভালো’, ‘তারে আর কি ফিরে পাবো’ ও ‘জানিতে চাই দয়াল তোমার’। খালেক দেওয়ান রচিত গানগুলোর শিরোনাম ছিল ‘মা লো মা ঝি লো ঝি’, ‘সখী ধর আমায়’, ‘কি সুখে রাঈ’, ‘কঠিন মরু কারবালাতে’, ‘মাটির ঘরে হাওয়ার বাসিন্দা নাজমুল হোসেন। জাত ও মানভেদে এই বাজারে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৫০-৬৫ টাকায়। যা গত সপ্তায় ৬৫-৭৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। তিনি জানালেন, দেশী পেঁয়াজের দাম কমলেও এই মূল্যও অনেক বেশি। তাই দ্রুত এই পণ্যটির দাম কমা উচিত। তিনি বলেন, শুনেছি সিন্ডিকেট করে এ বছর পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। ভোক্তাদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত চক্রটিকে শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। ওই বাজারের বিক্রেতারা জানালেন, দেশী পেঁয়াজের দাম কমছে। তবে গত বছর যত যেভাবে দাম কমেছিল এবার সেইভাবে কমছে না। সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমছে। এটাই ভাল খবর। প্রসঙ্গত, এবছর দু’দফা বন্যা, অতিবৃষ্টির কারণে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন কিছুটা কম হয়। একই সঙ্গে ভারতেও বন্যায় পেঁয়াজ উৎপাদন কমে যায়। আমদানিকৃত পেঁয়াজের আবার ৯০ ভাগ আসে ভারত থেকে। পেঁয়াজের এ সঙ্কট কাজে লাগিয়ে সিন্ডিকেট চক্র দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার করা প্রতিবেদনে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর পেছনে সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজির প্রমাণ উঠে এসেছে। এদিকে, পেঁয়াজের পাশাপাশি শাক-সবজির দাম এ বছর তুলনামূলক বেশি। প্রতি পিস ফুলকপি ৩৫-৪০ এবং প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ভরা মৌসুমে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। বাধাকপি, টমেটো, শালগম, মটরশুটি, বেগুনসহ অন্যান্য যেসব সবজি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তার দামও চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, ঘনকুয়াশা এবং সম্প্রতি হয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহে সবজি উৎপাদন ও সরবরাহে বিঘœ সৃষ্টি করেছে। এসব কারণে সবজির দাম কমছে না। তবে আবহাওয়া ঠিক থাকলে শীঘ্রই সবজির দাম কমে আসবে। সবজির পর মোটা চাল নিয়ে ভোক্তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা এই মোটা চাল, যা এখন ৪৪-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সঙ্কট মেটাতে ইতোমধ্যে চালের আমদানি বাড়িয়েছে সরকার। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী খাতে চালের আমদানি বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে, সরবরাহ পরিস্থিতি ঠিক থাকলে শীঘ্রই চালের দাম আরও কমবে। বাজারে প্রতিকেজি চিনি ৫২-৫৬, ডাল ৬০-১২০, ভোজ্যতেল পাঁচ লিটার ৫১০-৫৩০, সয়াবিন লুজ প্রতি লিটার ৮৫-৮৮, সয়াবিন প্রতি লিটার ১০৪-১০৯, আটা ২৮-৩৫ দামে বিক্রি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেল এবং চিনির দাম এখন নিম্নমুখী। এ কারণে দেশে এসব পণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মৌলভী বাজারের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ভুট্টো জনকণ্ঠকে বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ভোজ্যতেলের দাম আরও কমতে পারে। তিনি বলেন, পাইকারিতে এখন ভোজ্যতেল এবং চিনির দাম যথেষ্ট কম।
×