ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সার্কাসের মেয়ে ॥ আলো-অন্ধকার জীবন

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮

সার্কাসের মেয়ে ॥ আলো-অন্ধকার জীবন

অসংখ্য মুগ্ধ চোখ বৃত্তে আলোর কেন্দ্রে। যেখানে কোন অবলম্বন বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই মাটি থেকে ৩০ ফুট উচ্চতায় সরু তারের ওপর হেঁটে যাচ্ছেন এক নারী। জীবন-মৃত্যু তখন তার পায়ের ভৃত্য। হাঁটা শেষে লাফিয়ে নেমে এলেন মাটিতে। করতালিতে মুখরিত দর্শক। শিল্পীর মেকআপ চর্চিত মুখ উদ্ভাসিত হাসিতে। কিন্তু এ হাসি সব কথা বলে না। বলে না হাসির আড়ালে লুকানো কান্না, বঞ্চনার কথা। তার ক্ষুধা, তার অনিশ্চিত আগামীর কথা। সে শুধু জানে, সে শিল্পী। বুকে পাথর চাপা দিয়ে তাকে প্রস্তুত হতে হবে পরবর্তী খেলাটি দেখানোর জন্য। তাকে যোগাতে হবে বিনোদন। সে সার্কাস কন্যা। হারিয়ে যেতে বসা বিনোদনের এই মাধ্যমটির শেষ প্রজন্মের এক প্রতিনিধি সে। কালের ¯্রােতে তিলে তিলে নিঃশ্বেস হতে থাকা বিনোদনের এ মাধ্যমটির ইতিহাস ছিল ভিন্ন। বহু প্রাচীনকাল থেকেই রোম, মিসর, গ্রিসে সার্কাসের খেলা দেখানো হতো। আধুনিক সার্কাসের যাত্রা শুরু আঠারো শতকের দিকে ইংল্যান্ডের সুদক্ষ ঘোড়সওয়ার ফিলিপ এ্যাসলোর হাত ধরে । ব্রিটিশদের হাত ধরেই উপমহাদেশে সার্কাসের গোড়াপত্তন হয়। ১৮৭৯ সালে উইলিয়াম সিরিন একটি ইতালিয়ান সার্কাস দল নিয়ে উপস্থিত হন ভারতের কেরেলা রাজ্যে। কেরেলাকে বলা হয় ভারতবর্ষে সার্কাসের পুণ্যভূমি। অবিভক্ত বাংলায় সার্কাসে প্রথম পদক্ষেপ হিন্দুমেলার প্রতিষ্ঠাতা নবগোপাল মিত্রের হাত ধরে। এরপর আনুমানিক ১৮৮৩ সালে নবগোপাল মিত্রের জামাতা উইলসন্স সার্কাসের একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় আবেল ও আরও দু-চার জন ইউরোপীয়কে সঙ্গে করে ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান সার্কাস’ নামে একটি সার্কাস দল খোলেন। তবে বাঙালীর সার্কাস পূর্ণতা পায় প্রিয়নাথ বসুর হাতে। বিভিন্ন স্থানে জিমন্যাস্টিক খেলা দেখিয়ে যে অর্থ তিনি উপার্জন করেন তাই দিয়ে ১৮৮৭ সালে ‘প্রফেসর গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নামে একটি সার্কাস টিম গঠন করেণ। আমাদের এখানে প্রথম ১৯০৫ সালে ‘দি লায়ন সার্কাস’ নামে একটি সার্কাস দল গঠিত হয়। ১৯৭০ এ দলটির নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় ‘দি সাধনা লায়ন সার্কাস’। শুরু থেকেই বাঙালীর বিনোদনের অনতম মাধ্যম ছিল সার্কাস। সেই সার্কাসের আজ করুণ দশা। আগে বছরে এক দুই মাস সার্কাস বন্ধ থাকত এখন বছরে দুই তিন মাস চলে। প্রাকৃতিক কারণেই আমাদের দেশে শীতের সময়ে উৎসব আর অনুষ্ঠানের আমেজ বয়। কিছু কিছু স্থানে এখনও হয় সার্কাস খেলা। সার্কাস কর্মীরা যেন অপেক্ষা করে থাকে বছরের এই সময়ের জন্য। তাহলে বছরের বাকিটা সময় কী করে চলে তাদের? কথা হচ্ছিল ‘দি এশিয়া সার্কাসে’ গাজীপুর, জামালপুরের ঘোড়াশাল থেকে আসা নাজমা বেগমের সঙ্গে। ৩৫ বছর ধরে সার্কাসে খেলা দেখিয়ে চলা নাজমা বেগম বলে চলেছেন সার্কাসে কাটানো তার স্বর্ণময় অতীত, বর্তমানের অসহায়ত্ব, অবহেলিত জীবন আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা। নোয়াখালীর সার্কাস খেলোয়াড় তোফাজ্জল হোসেনের কন্যা আর জামালপুরের ঘোড়াশালের সার্কাস খেলোয়াড় সাইফুল ইসলামের স্ত্রী এই নাজমা বেগম ৫ বছর বয়স থেকেই সার্কাসে দেখিয়ে চলেছেন বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ খেলা। তাঁর তিন কন্যা আর এক পুত্র সন্তানও এই খেলার সঙ্গে জড়িত। এটা তাদের বংশগত পেশা। তার ছোট মেয়ে সোনিয়া। বয়স দশ বছর। ছয় বছর বয়স থেকেই খেলা দেখায়। ইতোমধ্যে সার্কাস খেলায় বেশ সুনামও কুড়িয়েছে সে। সোনিয়া বলে তার এসব করতে ভাল লাগে না। তার পড়তে ইচ্ছা করে। সে বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। দারিদ্র্যতা যেখানে বাসা বাঁধে শিক্ষা আর নৈতিকতার সেখানে ঠাঁই নেই। নাজমা বেগম বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা অল্পকিছু পড়ালেখা করেছে। শুধু পড়ালেখা দিয়ে তো আর পেট ভরবে না। আমরা নিজেরাই জানি না কখন আমাদের সার্কাসে খেলার জন্য ডাক পড়বে। আর বাঁচতে হলে খেলতে হবে। আমরাতো এর বাইরে অন্য পেশার কাজ তেমন পারি না’ এ পেশায় যে নারীরা আসেন তাদের অধিকাংশই দরিদ্র, অসহায়। অনেকেই বংশানুক্রমে ধরে রাখেন পেশাটিকে। ভালবাসার টানে আর শিল্পীর মর্যাদার আর্কষণে। এখানে থাকা বেশিরভাগ মেয়েদেরই বিয়ে হয় সার্কাস খেলোয়াড়দের সঙ্গে। সার্কাসের বাইরের সমাজ তাদেরকে সেভাবে গ্রহণ করে না। তবে ইদানীং সার্কাসের বেহাল দশার কারণে যারা অন্য পেশা বেছে নিচ্ছেন তাদের কেউ কেউ বাইরের পরিবেশে বিয়ে করছেন। এ বিষয়েও ভয় কাজ করে তাদের মধ্যে। তারা সাহস পায় না অন্য পেশার লোকদের বিয়ে করতে। কারণ সার্কাসের মেয়ে সম্পর্কে এ সমাজ যে ধারণা পোষণ করে যদি বিয়ে পরবর্তী সময়ে তা নিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয়! নাজমা বেগমের সরল স্বীকারোক্তি, ‘সার্কসের মেয়েদেরকে বাইরে আর কে বিয়ে করবে বলেন? কারও কপালের জোর থাকলে করে’। সার্কাসে যারা কাজ করেন সাধারণত তাদের পক্ষে অন্য পেশায় থাকা সম্ভব হয় না। অবসরে ধরে রাখতে হয় খেলার চর্চা। যখন তখন ডাক আসার কারণেও অন্য কোন স্থায়ী পেশা বেছে নেয়া সম্ভব হয় না। সার্কাস খেলোয়াড়রা দিনমজুরের কাজ করলে তাদের শারীরিক কসরত দেখাতে সমস্যা হয়। সেখান থেকে ফিরে তাদের পক্ষে আর সম্ভব হয় না আগের মতো ভালভাবে খেলা দেখানো । নাজমা বলেন, ‘বাইরে নিয়মিত কায়িকশ্রম দিলে সার্কাসে সময় দেওয়া যায় না এমনকি ভাল খেলা দেখানোও সম্ভব না। আমাদের তো কেউ আর অফিস আদালতে চেয়ারে বসে করার মতো কাজ দেবে না’। অনেকেই ধারণা করেন সার্কাসে অসামাজিক ড্যান্স দেখানো হয়। এ বিষয়ে নাজমা বলেন, ‘সর্কাসে মহিলারা খেলা দেখায়, এখানে অসামাজিক, অশ্লীল কোন কিছুই দেখানো হয় না। আমরা যে পোশাক পরি তাতে আমাদের মুখ বাদে সমস্ত শরীরই ঢাকা থাকে। তবে সার্কাস শুরুর প্রথম দিকে ২/১ টি সামাজিক নাচ হয়।’ সার্কাসের নৃত্য শিল্পী সাতক্ষীরার মেয়ে আর বগুড়ার সার্কাস খেলোয়াড় মিজানুর রহমানের স্ত্রী মাহি ১৬ বছর ধরে এ কাজ করছেন। সার্কাস মঞ্চের বাইরে তিনি একজন পতিব্রতা স্ত্রী আর তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া এক পুত্র সন্তানের মমতাময়ী মা। উর্পাজিত অর্থ দিয়ে তিনি তার সন্তানকে ভালভাবে মানুষ করার স্বপ্ন দেখেন। মাহি বলেন, ‘নাচ একটা শিল্প। এটা সরস্বতীর দান। বিদ্যা, সঙ্গীত আর নৃত্যের দেবী সরস্বতী মা কে স্মরণ করে আমরা মুখে মেকআপ লাগিয়ে নাচ করি। যা পরিবারের সকলের সঙ্গেই দেখা সম্ভব।’ তাদেরই নিমন্ত্রণে সেদিন গেলাম সার্কাস মাঠে। বিস্মিত হলাম, হতাশও। স্মৃতির খাতায় ভেসে উঠল ছেলে বেলায় বাবা-মায়ের হাত ধরে দেখতে যাওয়া সার্কাস প্রাঙ্গণ। সেদিনের সেই স্মৃতির সঙ্গে মেলাতে পারছিলাম না এখনকার সার্কাস প্রাঙ্গণকে। ড্রাম ৩য় বারের মতো বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এক রঙের শাড়ি পরা পাঁচ জন মহিলা প্রথমে জাতীয় সঙ্গীত পরে গাইলেন দেশত্মবোধক গান। এরপর দুটি নাচ শেষে শুরু সার্কাস খেলা। তাদের পোশাক এবং নাচ কোনটাতেই এমন কোন অশ্লীলতার ছাপ ছিল না যা দৃষ্টিকটু। তবে কিছু দর্শক সার্কাসের চেয়ে নাচ দেখতেই বেশি পছন্দ করছিলেন আর নাচ না হলে চেষ্টা করছিলেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির। দোষটা তাহলে কার? যে নাচে নাকি যে নাচায়? সার্কাসের পরিবেশ খারাপ করে কারা? যারা সার্কাস দেখায় না যারা দেখে? সর্কাস খেলোয়াড়তো পেট বাঁচানোর জন্য খেলাটিকে টিকিয়ে রাখতে চায়। এ সময় আর একজন সার্কাস খেলোয়াড় নূরুন্নাহার বলেন, ‘আমরা সার্কাস করি বিধায় সমাজের লোকজন আমাদের অন্য চোখে দেখে। লোকেরা বলে, যে সব মেয়েরা দশ জায়গা ঘুরে সার্কাস দেখিয়ে বেড়ায় তারা কি আর ভাল হয়? আমরা তো আর পর্দার মধ্যে থাকতে পারি না। সবাই ভাবে আমরা গ্রামের মানুষ, সংসার করব, হাঁস মুরগি পালব, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরব। আমাদেরও ইচ্ছে হয়, কিন্তু পেট তো চলে না’। সাতক্ষীরার এক গরিব ব্যবসায়ীর মেয়ে তিনি। অভাবের কারণে ছোটবেলাতেই সার্কাসে যোগ দেন। দুই কন্যা সন্তানের জননী এই নুরুন্নাহার বিশ বছর যাবত সার্কাসে খেলা দেখিয়ে আসছেন। স্বামী গত হওয়া এই বিধবার সংসার চলে সার্কাসের উপার্জিত অর্থ দিয়ে। এ অর্থ দিয়েই বড় মেয়েকে এসএসসি পাস করিয়ে বিয়ে দিয়েছেন আর ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ছে। সার্কাস মঞ্চের বাইরে তাদের আচার ব্যবহার, ভদ্রতা, পোশাক পরিচ্ছদ সব কিছুই সাধারণ সামাজিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা মহিলাদের চেয়ে বেশি ছাড়া কম নয়। তবুও বিদ্রƒপের বাণী যেন তাদের দিকেই ধায়। সন্ধ্যায় ঢলে পড়া অন্তিম সূর্যের মতো বর্তমান সার্কাসের অবস্থা অতীতে এমন ছিল না। যুগ যুগ ধরে এ মহিলারাই সার্কাসে গৌরবের সঙ্গে ভয়ঙ্কর সব খেলা দেখিয়ে আসছে। সার্কাস মাঠে খেলার গতিকে ধরে রেখেছে মেয়েরা। অবিভক্ত বাংলার ‘গ্রেট বেঙ্গল’ সার্কাসের নির্ভীক, দুঃসাহসী এক বলিষ্ঠ খেলোয়াড় ছিলেন সুশীলা সুন্দরী। অদম্য সাহসী এই নারী কোন কিছু ছাড়াই খালি হাতে বাঘের খাঁচায় ঢুকে একজোড়া বাঘের সঙ্গে খেলা দেখাতেন। এমনকি বাঘের গালে চুমুও খেতেন। বাঘের খেলা ছাড়াও ট্র্যাপিজ আর জিমন্যাস্টিকসের খেলা দেখাতেন তিনি। দেখাতেন আরও বিপজ্জনক সব খেলা। তাকে মাটিতে সমাধি দেয়া হতো। এরপর একটি ঘোড়ার খেলা দেখানো হয়ে গেলে তাকে তোলা হতো মাটি খুঁড়ে। পাকিস্তানের লাকী ইরানী সার্কাস, যেখানে মেয়েরা যুগ যুগ ধরে বংশপরম্পরায় খেলা দেখিয়ে আসছে। এ দলে আশ্চর্যজনক খেলা দেখাত ৫ বছর বয়সী ফিজা। প্রায় শূন্যের ভেতর এক দড়ি থেকে অন্য দড়িতে লাফিয়ে লোহার খাঁচায় প্রবেশ করত সে। বর্তমানে এ সঙ্কটময় অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিতে পারেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নারী সার্কাস কর্মীদের নিয়ে একটি দল গঠনের। যে দলটি দেশের প্রতিটি জেলায় বছরে ৩ দিন খেলা দেখাবে। সরকার শুধু দেবে তাদের নিরাপত্তা। সরকারের কাছে বাড়তি অর্থের দাবি তাদের নেই, খেলা দেখিয়ে উপার্জিত অর্থ থেকেই তারা নিজেদের অন্ন সংস্থান করতে পারবে এই আত্মবিশ্বাস তাদের আছে। চাই কেবল প্রয়োজনীয় পরিবেশ যা সরকার চাইলেই নিশ্চিত করা সম্ভব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামান্য কৃপাদৃষ্টি যেমন বাঁচাতে পারে হারিয়ে যেতে বসা বিনোদনের এই মাধ্যমটিকে তেমনি নারী সার্কাস কর্মীরা রক্ষা পাবে শোষণ, বঞ্চনা আর নারীত্বের অবমাননার হাত থেকে। ‘ ফেরার পেেথ কানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল তাদের বলা, ‘আমরা সার্কাসের মেয়ে। আমরা এ সমাজের আর দশ পাঁচটা মেয়ের মতোই। আমরা কাজ করে খাই, পেট বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শারীরিক কসরত দেখাই। আমরা এখানে নাচতে আসিনি। আমরা স্বেচ্ছায় নাচি না তোমরা আমাদের নাচাও। লোকে আমাদের বলে- ওরা সার্কাসের মেয়ে ওরা কি আর ভাল হয়। সমাজের মানুষ আরও কত কি বলে! কিন্তু সার্কাস না করলে খাব কি? পোলাপান মানুষ করব কি দিয়ে? বাঁচব কি করে?’ উত্তর জানা ছিল না আমার। সময়ের জালে আটকে যাওয়া জীবনকে টিকিয়ে রাখার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সার্কাসের মেয়েরা যুগ যুগ ধরে মানুষের আনন্দ-বিনোদনের খোরাক যুগিয়ে আসছে। অনিশ্চিত আজ তাদের জীবন। শুধু পেট বাঁচানোর তাগিদেই তারা সমাজে কাঠপুতুল। এক দিকে তাদের করানো হয়, আবার তাদেরই মন্দ বলা হয়। এ যেন নিয়তির সৃষ্টি উভয় সঙ্কট। সার্কাস মঞ্চের বাইরে মেকআপবিহীন করুণ চেহারা আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পানে নিক্ষিপ্ত অসহায় দৃষ্টি আমায় টেনে নিচ্ছিল চিন্তার অতলে। এখানে এসে থমকে গেছে মানবতা। বিবেক তার চোখে বেঁধেছে কালো কাপড়।
×