ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটার ৩ কোটি ৮৪ হাজার

স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন হচ্ছে চতুর্থবারের মতো

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮

স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন হচ্ছে চতুর্থবারের মতো

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন। মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৭ ও দাখিল মাদ্রাসা পর্যায়ে ২৯ জানুয়ারি মোট ২২ হাজার ৬৪৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে এক লাখ ৮১ হাজার ১৫২টি পদের জন্য দুই লাখ ৮৩ হাজার ৩৩৯ শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ভোট দেবে এক কোটি ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩৪৮ শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানান। এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ব্যানবেইস পরিচালক ফসিহউল্লাহ ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট চলবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১০ সাল থেকে স্টুডেন্ট কেবিনেট গঠন করা হলেও মাধ্যমিক স্তরে ২০১৫ সাল থেকে কিশোর শিক্ষার্থীদের এই নির্বাচন হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা, অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকা-ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়াও ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে তাদের যুক্ত করাতে এই নির্বাচন হচ্ছে। ২২ হাজার ৬৪৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬ হাজার ৮৭ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৬ হাজার ৫৫৭টি দাখিল মাদ্রাসা। মন্ত্রী জানান, এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসারসহ শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বও থাকবে শিক্ষার্থীদের উপর। শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদ এবং অভিভাবকরা তাদের সহযোগিতা করবেন। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর সব শিক্ষার্থীই এ নির্বাচনের ভোটার। আর ভোটার তালিকাভুক্ত যে কোন শিক্ষার্থী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে। প্রত্যেক শ্রেণী থেকে একজন করে পাঁচটি শ্রেণী (ষষ্ঠ-দশম) থেকে পাঁচজন ও পরবর্তী সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া তিন শ্রেণীর তিন জনকে নিয়ে এক বছরের জন্য আট সদেস্যর এই কেবিনেট হবে। কেবিনেটের কর্মপরিধিতে থাকবে পরিবেশ সংরক্ষণ, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহপাঠ কার্যক্রম, পানিসম্পদ, বৃক্ষরোপণ ও বাগান তৈরি, দিবস পালন ও অনুষ্ঠান সম্পাদন, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন এবং আইসিটির মতো বিষয়। নির্বাচনের পর সাত দিনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে প্রথম বৈঠকে বসবে কিশোর শিক্ষার্থীদের মন্ত্রিসভা। ওই বৈঠকে ‘কেবিনেট প্রধান’ নিজেদের মধ্যে কর্মবণ্টন, সহযোগী সদস্য মনোনয়ন এবং সারা বছরের কর্মপরিকল্পনা করবে। স্টুডেন্ট কেবিনেটকে মাসে কমপক্ষে একটি সভা করতে হবে। শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেবেন। প্রতি ছয় মাস পর সব শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে কেবিনেটের সাধারণ সভা হবে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের কাজের জন্য ওই সভায় একক ও যৌথভাবে দায়বদ্ধ থাকবে। যেসব সদস্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ বা অপারগ হবে, তারা পদত্যাগ করবে এবং পরবর্তী অধিক ভোটপ্রাপ্ত সদস্যকে কেবিনেটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিশোর বয়স থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা তৈরি করতে ‘স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনের’ আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে একে অপরকে সহযোগিতা করা, শ্রদ্ধা প্রদর্শন, শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি ও ঝড়ে পড়া রোধে সহাযোগিতা, পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকা-ে অংশগ্রহণ নিশ্চিতসহ ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
×